চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একদিকে দলের বোলাররা যেমন প্রতিটি ম্যাচে পারফর্ম করেছেন তেমন একইভাবে প্রতিটি ম্যাচে ব্যর্থ দলের টপ অর্ডার।
ব্যাট হাতে দলের টপ অর্ডারের প্রত্যেক ব্যাটারের ব্যর্থতা রীতিমতো হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে। অবশ্য এমন ব্যর্থতার মধ্যে বন্দি তারা বছরের শুরু থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এভাবে শুরু করে যদিও বোলারদের নৈপুণ্যে এ রকম পারফরম্যান্সি ঠিক সেভাবে নজরে আসেনি। তবে শুক্রবার (২১ জুন) সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বোলাররা ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকতে হয়েছেন ব্যর্থ। ব্যাটারদের বারবার এমন রান না পাওয়ার প্রশ্নের কোন উত্তর নেই বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে।
অজিদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর টেস্ট সুলভ ব্যাটিং করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। অধিনায়ক শান্তর সাথে তার ৫৮ রানের জুটি হলেও সেটিকে ঠিক টি-টোয়েন্টি গতির বলা যায় না।
বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ৫৮টি ডট বল। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ লিটন দাস ২৫ বলে ৬৪ স্ট্রাইকরেটে ১৬ রান করেন। থিতু হয়েও এমন ইনিংস খেলে আউট হওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন স্বল্প রানে।
শুরুতে এ রকম ঘুম পাড়ানো ব্যাটিং প্রসঙ্গে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আসলে শুরুর দিকে আমরা একটু সতর্ক খেলারই পরিকল্পনা করেছিলাম। আগের ম্যাচগুলোতেও আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লেতে কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল আমাদের। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি বলে মনে করি। রান আরেকটু ভালো হতে পারত। আমি বাজে সময় আউট হয়েছি, আউট না হলে হয়তো ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারতাম।’
রানখরাও ভুগতে থাকা লিটন আজও হয়েছেন ব্যর্থ তার ওপর খেলেছেন স্লো একটা ম্যাচ। শান্ত অবশ্য সতীর্থের খেলায় দোষ দেখেন না। তিনি বলেন , ‘শুরুর দিকে উইকেট স্লো ছিল। খুব যে বল ব্যাটে আসছিল তা না। তবে সেট ব্যাটার থাকা খুব জরুরি ছিল।’
বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের বিশ্বকাপে দৈন্যদশার কারণ অবশ্য জানা নেই শান্তর, ‘কেন তারা পারছে না এটা তো বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয় সবার সামর্থ্য আছে। সবাই অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় করে দেখিয়েছে। এবার কেন হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে যার যার স্বাভাবিক খেলা খেলার স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কোনো কারণে হচ্ছে না। সবাই ম্যাচে গিয়ে যার যার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছে, তবে এভাবে খেললে অবশ্যই বোলারদের জন্য কঠিন।’
মন্তব্য করুন