ইউরোপের ক্লাবগুলোর দ্বিতীয় সারির প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগের ফাইনালে কি হতে চলেছে এক ঐতিহাসিক ইংলিশ দ্বৈরথ? পরিসংখ্যান আর পারফরম্যান্স বলছে—সব পথ যেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যামের দিকেই যাচ্ছে!
বৃহস্পতিবার রাতে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে দারুণ জয়ই পেয়েছে দুই ইংলিশ ক্লাব। আসরের অন্যতম ফেভারিট অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে ইউনাইটেড জিতেছে ৩-০ গোলে, যেটি আবার ইউরোপা লিগের ফাইনাল ভেন্যু হিসেবেও নির্ধারিত! অন্যদিকে, হোম ম্যাচে বোডো/গ্লিম্টকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এগিয়ে টটেনহ্যামও।
ফুটবলের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অপ্টা তাদের গণনায় ইউনাইটেডের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা দেখছে ৯৭% আর স্পার্সের ৯১%। অর্থাৎ, দু’দলের ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে ৮৮%!
এমন হলে এটি হবে ইউরোপের কোনো বড় প্রতিযোগিতায় মাত্র ষষ্ঠ অল-ইংলিশ ফাইনাল। আর চমকপ্রদভাবে, এর অর্ধেকেই আছে টটেনহ্যাম!
ম্যান ইউ ও স্পার্স দুই দলই এখন প্রিমিয়ার লিগে ১৪ ও ১৬ নম্বরে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্ন তো দূরের কথা, ইউরোপা কনফারেন্স লিগেও খেলা অনিশ্চিত। তাই একমাত্র উপায়—ইউরোপা লিগ জেতা। আর ২১ মে ফাইনালে জয় মানেই সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রবেশ!
তবে প্রশ্ন উঠে যায় কাজ কি শেষ? ইউনাইটেড ৩-০ গোলে এগিয়ে দ্বিতীয় লেগ শুরু করলেও স্পার্সের সামনে এখনো একটা পাহাড় বাকি। বোডো/গ্লিম্ট তাদের ঘরের মাঠে শেষ কয়েক মৌসুমে ৭০% ম্যাচ জিতেছে। ইউরোপা লিগে দুর্ধর্ষ তাদের হোম ফর্ম। ভুল করলে মহাবিপদ!
এদিকে ইংল্যান্ডের সামনে সম্ভাব্য ইউরোপিয়ান ট্রফির হ্যাটট্রিক জেতারও সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো দেশ কখনো তিনটি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার সবগুলো জেতেনি এক মৌসুমে। এবার সেই স্বপ্নে এগোচ্ছে ইংল্যান্ড:
ইতিহাসের পাতা খুললে দেখা যাবে ১৯৭২ সালে প্রথম ইউরোপা লিগের অল-ইংলিশ ফাইনালে টটেনহ্যাম হারিয়েছিল উলভসকে। এরপর মস্কোর সেই রাত, টেরির কান্না, সালাহ-ওরিগির গোল, হ্যাজার্ডের বিদায়ী পারফরম্যান্স... ইংলিশ ক্লাবগুলো ইউরোপে লিখেছে অসংখ্য গল্প।
এইবারের গল্প কি শুরু হয়ে গেল? বিলবাওয়ে কি আবার লেখা হবে নতুন ইতিহাস?
মন্তব্য করুন