অর্ধেক সময় পর্যন্ত জয় ছিল হাতের মুঠোয়। স্কোরবোর্ডে ২-০ গোলের লিডে ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসর। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আল ইত্তিহাদের বিপক্ষে এই জয় তাদের লিগ শিরোপার লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেন হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ল দলটি—শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হেরে বসলো, ভেঙে পড়লো রোনালদো।
শেষ বাঁশি বাজার পর ভাঙল রোনালদোর ধৈর্য, মাঠেই নিজের রাগ চেপে রাখতে পারেননি এই পর্তুগিজ মহাতারকা। হাত নেড়ে, মুখে একা কথা বলতে বলতে এমন এক অঙ্গভঙ্গি করলেন—যা যেন বলে দিচ্ছিল, ‘আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!’ রোনালদোর এই প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট করল, ম্যাচটিতে দলের আচরণে তিনি কতটা হতাশ হয়েছেন।
এই হারে আল নাসরের শিরোপা সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। ১২ পয়েন্ট এখনো বাকি থাকলেও তারা আছে টেবিলের চতুর্থ স্থানে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা আল হিলালের থেকে পাঁচ পয়েন্ট পেছনে। শুধু তাই নয়, এবার আরবের দল আল আহলি চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও খেলতে হলে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া বাধ্যতামূলক।
প্রথমার্ধে সাদিও মানে ও আইমান ইয়াহিয়ার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আল নাসর। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে করিম বেনজেমা ও এন'গোলো কান্তে স্কোরলাইন সমতায় আনেন। এরপর অতিরিক্ত সময়ে হোসেম আওয়ারের গোল যেন ছুরির শেষ কোপ।
রোনালদো মৌসুমে এখনো পর্যন্ত করেছেন ৩৩ গোল। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে তার নেতৃত্ব, সিদ্ধান্ত ও পারফরম্যান্স ঘিরে। দলের কোচের চাকরি নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
জাপানের কাওাসাকি ফ্রন্টালের কাছে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বিদায়, আর এবার শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে—রোনালদোর মধ্যপ্রাচ্য মিশনে যেন ঘুরে ফিরে একই রকম হতাশা।
রোনালদো বলেছিলেন, ‘ঘুমিয়ে পড়েছিল দল।’ কিন্তু এই ঘুম ভাঙার কোন ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন