নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নাম লেখাল বাংলাদেশ। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের পাপুন পাড়ে জেলার ইউপিয়া শহরের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে গোল তিনটি।
৭২ মিনিট গোলশূন্য ছিল ফাইনালে ওঠার এ লড়াই। পরের মিনিটে অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের কর্ণার থেকে আশিকুর রহমানের হেড নেপালের জাল খুঁজে নেয়, এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৮১ মিনিটে অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে সুজান দাঙ্গলের গোলে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল নেপাল। বাকি সময়টা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাস করে বাংলাদেশ।
কিক-অফের পর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে চলছিল খেলা। নেপাল অবশ্য তুলনামূলক বেশি সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। ১৭তম মিনিটে নেপালের আক্রমণ রুখে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন গোলকিপার ইসমাইল হোসেন মাহিন। ২২তম মিনিটে সাবিন কুমারের শট রক্ষণে প্রতিহত হয়। ২৩তম মিনিটে নাজমুল হুদা ফয়সালের থ্রু পাসে দারুণ সুযোগ এসেছিল, রিফাতের শট কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন নেপালের গোলকিপার ভাক্ত বাহাদুর। ৩০তম মিনিটে নেপালের একটি প্রচেষ্টা পোস্টে প্রতিহত হয়। ৩৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মুর্শেদের ফ্রি কিক পোস্ট ঘেঁষে বাইরে গেছে। দুই মিনিট পর নুরুল হুদা ফয়সালের দারুণ প্রচেষ্টা ফিরিয়েছেন নেপালের গোলকিপার ভাক্ত বাহাদুর। ৫৫তম মিনিটে বাংলাদেশের দারুণ প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন নেপালের ডিফেন্ডার মদন পাউডেল। ৬০তম মিনিটে মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে উড়ে আসা শটে বিপদ তৈরি হয়েছিল। শট প্রতিহত করলেও বল গ্লাভস লেগে বেরিয়ে যায়। সামনে থাকা সুজান দাঙ্গল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই বিপদমুক্ত করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক।
ম্যাচের পর বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলছিলেন, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, ছেলেরা মাঠে তা প্রয়োগ করতে পেরেছে।’
ফাইনালে ম্যাচের আগে এ কোচ বলেন, ‘ভারত বরাবরই এ অঞ্চলের শক্তিশালী দল। এ দলটি সবদিক থেকে এগিয়ে আছে। আশা করছি, ফাইনালে ভারতের মোকাবিলা করতে হবে। ভালো একটি ফাইনাল হবে বলেই প্রত্যাশা করছি। অরুণাচলের দর্শকরা সেটা উপভোগ করতে পারবেন। আমরা শিরোপা জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।’
রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ভারত-মালদ্বীপ আরেক সেমিফাইনালে অবশ্য সহজেই ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে ভারত ।
মন্তব্য করুন