ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ক্যাবরেরার আক্ষেপ ও গর্ব

হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। ছবি : সংগৃহীত
হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। ছবি : সংগৃহীত

দুই অর্ধ দুই রকম চিত্র দেখা গেল—প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ, বিরতির পর দল কিছুটা গুছিয়ে উঠল বটে। ফুটবলের চিরচেনা রূপটা আর বদলায়নি—হাইপ তুলে হেরে বসার পুরোনো রীতি বহাল থাকল। যেমনটা ছিল ২০১৫ সালের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনালে, ২০০৯ সালের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপেও। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরে যে উম্মাদনা দেখা গেল, তা অতীতকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দর্শক ঠাসা গ্যালারির সামনে বাংলাদেশ ম্যাচ হারল ২-১ ব্যবধানে।

বর্তমান বাংলাদেশ দলের প্রাণ বলা হচ্ছে মাঝমাঠকে। হামজা চৌধুরী, সৈয়দ কাজেম শাহ কিরমানী ও সামিত সোমের কারণে দলটির মাঝমাঠ না কি দক্ষিণ এশিয়ার সেরা! এ কারণেই হয়ত সিঙ্গাপুরের জাপানি কোচ সুতুমো ওগুরা বাংলাদেশের মাঝমাঠ নিয়ে বাড়তি কাজ করে নেমেছিলেন। ‘বাংলাদেশের গর্ব’ মাঝমাঠ বিকল থাকায় প্রথমার্ধে খেলাটা গড়তে পারেনি লাল-সবুজরা। এ প্রসঙ্গে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ম্যাচের পর বলছিলেন, ‘মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের তুলনায় এখানে আমাদের কাজটা কঠিন ছিল। ভারত হাইলাইন ডিফেন্স করেছে, আমাদের সামনে জায়গা ছিল। এখানে কিন্তু আমরা তেমন জায়গা পাইনি। তারপরও খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে। এ জন্য আমি গর্ব করি।’

পুরো ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘ম্যাচে অনেক কিছুই ঘটতে পারত। কিন্তু দিনশেষে আমরা হেরেছি। এটা মেনে নিতে হবে। আমরা ম্যাচটা জিততেও পারতাম। কিন্তু শেষদিকে সুযোগ কাজে লাগানো যায়নি।’

স্প্যানিশ এ কোচ যোগ করেন, ‘আমি মনে করিনা যে প্রতিপক্ষ দল আমাদের চেয়ে ভাল ছিল। আমার মনে হচ্ছে ২-২ স্কোরলাইন হওয়াটা উচিত ছিল। পেনাল্টির ঘটনাটা পরিস্কার ছিল।’

ম্যাচের শেষদিকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম দ্রুততার সঙ্গে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে প্রবেশ করেন। এসময় এক ডিফেন্ডার বাংলাদেশী উইঙ্গারকে ফেলে দিলেও রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যায়—নিশ্চিত পেনাল্টি বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। ম্যাচের পর এ নিয়েও কথা বলেছেন বাংলাদেশ কোচ হভিয়ের ক্যাবরেরা। ম্যাচের একপর্যায়ে খেলোয়াড় পরিবর্তন নিয়ে রেফারিদের সঙ্গে তর্কে জড়ান বাংলাদেশ ম্যানেজার আমের খান। ওই সময় কি ঘটেছিল? জানতে চাওয়া হলে হাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেছেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। ম্যানেজার বলতে পারবেন।’

জয়ের পর অতিথি দলের কোচ সুতোমো ওগুরা পুরো কৃতিত্ব দিলেন খেলোয়াড়দের। অভিজ্ঞ এ কোচের কথায়, ‘বিপুল দর্শকের সামনে খেলাটা সহজ ছিলনা। আমি খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিব। তারা প্রায় ১০০ মিনিট লড়াই করেছে।’

নিজ দল সম্পর্কে জাপানি এ কোচ বলেছেন, ‘দলের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল যে, স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারলে ম্যাচ জিতব। লক্ষ্য পুরণ হওয়ার পর ছেলেদের আমি কৃতিত্ব দেব।’

গ্রুপের আরেক ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে হংকং। সে ম্যাচ নিয়ে অবশ্য কোন আগ্রহ দেখালেন না সিঙ্গাপুর কোচ সুতোমো ওগুরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা বাস্তবায়ন হবে : আজাদ

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে লাগাতার অবরোধের ঘোষণা ছাত্র-জনতার

১২০ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এনসিপির আরও এক নেতার পদত্যাগ

বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন চালু করল ‘স্কুল অব ডিবেট’

ইতালি গমনেচ্ছুদের ‘সুখবর’ দিল অন্তর্বর্তী সরকার

চীনে দুই যুদ্ধজাহাজের সংঘর্ষ

তারপরও অতৃপ্ত বাটলার

একাদশে ভর্তিতে প্রথম ধাপের আবেদনের সময় বাড়ল

৮ বছর ধরে ঝুলে আছে বিশ্বকবির নামাঙ্কিত প্রকল্প

১০

মালয়েশিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

১১

দেশ ও দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি : তারেক রহমান

১২

পারিশ্রমিক ইস্যুতে চিটাগং কিংসের নয়ছয়

১৩

ফের মাঠে নামছে জামায়াত

১৪

চার দিনে বিমান তৈরি করে আকাশে উড়াল রাজবাড়ীর রাহুল

১৫

মেজর সিনহার চরিত্রে শাকিব খান

১৬

ধাওয়াপাড়া–নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

১৭

এ বছর মব সন্ত্রাসে ১১১ জন নিহত : আসক

১৮

কেন বারবার কাঁপছে তুরস্কের মাটি?

১৯

জ্বালানি খাতে এক বছরে সাশ্রয় ১৪ হাজার কোটি টাকা

২০
X