বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একটি প্রীতি ম্যাচ ও একটি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ডে ফিরে গেছেন লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। তবে বিদায়ের আগে বাংলাদেশ ফুটবল এবং সমর্থকদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে রেখে গেছেন আশাবাদের বার্তা—সবকিছু এখনই শেষ হয়ে যায়নি, বরং এটি কেবল শুরু।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারের পর রাতেই ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে যান হামজা। আজ ভোরেই ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি। একই ফ্লাইটে ছিলেন সদ্য অভিষিক্ত তরুণ খেলোয়াড় সামিত সোম, যার গন্তব্য কানাডা।
বিদায়ের আগে নিজের ফেসবুক পেজে ম্যাচের কয়েকটি ছবি পোস্ট করে হামজা লিখেছেন, 'আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম তেমনটা হয়নি। কিন্তু দল হিসেবে এবং জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে কারণ আমরা সবে শুরু করছি। ইনশাআল্লাহ আমরা যেখানে যেতে চাই খুব শিগগিরই সেখানে পৌঁছে যাব। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ। অক্টোবরে দেখা হবে।'
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে আক্রমণে না গেলেও রক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন হামজা। কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা তাকে মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে রাখেন। ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র গোলের সূচনাও এসেছিল তার পা থেকেই, যেমনটা হয়েছিল ভুটানের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও, যেখানে তিনি গোল করেছিলেন।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গ্রুপ ‘সি’-তে দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ অবস্থান করছে তৃতীয় স্থানে। শীর্ষে থাকা সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের সংগ্রহ চার পয়েন্ট করে। ভারতও বাংলাদেশের মতো এক পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় আছে চারে।
এই বাছাইপর্বে বাংলাদেশ দলের সামনে পরবর্তী ম্যাচ অক্টোবরে। ৯ অক্টোবর ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে খেলবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এরপর ১৪ অক্টোবর ফিরতি লেগে হংকংয়ে খেলবে কাবরেরার শিষ্যরা।
বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন যুগ শুরুর সম্ভাবনায় আশাবাদী অনেকেই। আর সেই ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতিশীল এক কণ্ঠস্বর হয়ে উঠছেন হামজা চৌধুরী। তার বিদায়ী বার্তা তাই কেবল বিদায় নয়, বরং সামনে এগিয়ে যাওয়ার ডাক।
মন্তব্য করুন