চোট কাটিয়ে বছরের শুরুতে সান্তোসে ফেরা, বিশ্বকাপ বাছাই সামনে—সব মিলিয়ে নতুন করে গতি পাওয়ার কথা ছিল নেইমার জুনিয়রের ক্যারিয়ারে। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের পর মাঠের পারফরম্যান্স যেমন হতাশাজনক, তেমনি মাঠের বাইরেও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সমর্থকের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডার পর এবার নিজেই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
বুধবার রাতে ভিলা বেলমিরোতে ইন্টারনাসিওনালের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারে সান্তোস। সেই হারের পর গ্যালারিতে থাকা এক সমর্থকের সঙ্গে তর্কে জড়ান নেইমার। পরের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় নেইমার লেখেন, ‘আমি সান্তোসে ফিরেছি ক্লাবকে সাহায্য করতে। কিন্তু যদি সমর্থকরা মনে করেন, আমি উপকার নয়, বরং ক্ষতি করছি—তাহলে আমিই আগে চলে যাব।‘
তবে তাতে ক্লাবের প্রতি দায়বদ্ধতা অস্বীকার করেননি সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকা।
‘যতদিন শক্তি থাকবে, এই ব্যাজের জন্য দৌড়াব, লড়ব, চিৎকার করব।’
২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নেইমার খেলেছেন ১৫টি ম্যাচ, করেছেন ৪ গোল, অ্যাসিস্ট ৩টি। ব্রাজিলিয়ান লিগে ৭ ম্যাচে মাত্র ১ গোল। সান্তোস যেখানে রেলিগেশন এড়াতে মরিয়া, সেখানে নেইমারের এমন পারফরম্যান্স স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
তীব্র ব্যক্তিগত আক্রমণে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন নেইমার। বলেন, ‘পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা কেউ করলে আমি কিছু বলি না। কিন্তু আমাকে ভাড়াটে খেলোয়াড় বলা, পরিবার নিয়ে কটাক্ষ করা—এসব মেনে নেওয়া যায় না। আমি তো মানুষ, সবসময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।’
ঘটনার পর যিনি নেইমারকে তিরস্কার করেছিলেন, পরে তিনিই দুঃখ প্রকাশ করেন। জানান, হতাশা থেকে অতিরিক্ত আবেগে এমন কথা বলে ফেলেছেন।
ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি আগামী মাসে ঘোষণা করবেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ দুই ম্যাচের স্কোয়াড। সামনে চিলি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেই দল ঘোষণার আগে নেইমারের সামনে এখনো সময় আছে নিজেকে প্রমাণ করার, তবে সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
সান্তোসের টালমাটাল পরিস্থিতি, নেইমারের ফর্মহীনতা এবং সমর্থকদের ক্ষোভ—সব মিলিয়ে প্রশ্ন এখন একটাই: এই ক্লাবেই কি নেইমারের ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায় লেখা হতে চলেছে?
উত্তরটা হয়তো দেবে সময় আর… সান্তোসের সমর্থকরা।
মন্তব্য করুন