বয়স ৪০। তবুও থামছেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফুটবল দুনিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নিবেদিতপ্রাণ ও সাফল্যমণ্ডিত খেলোয়াড়দের একজন তিনি। এবার সেই নিবেদিতপ্রাণ পর্তুগিজ সুপারস্টারের ২০২৬ বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনার কথা জানালেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তার সাবেক কোচ রেনে মিউলেনস্টিন।
সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরে আরও দুই বছরের চুক্তি করে ৪২তম জন্মদিন পর্যন্ত পেশাদার ফুটবল চালিয়ে যাবেন রোনালদো। আর সে খবর জানার পরই মিউলেনস্টিন বলেন,
‘এই বয়সেও রোনালদো খেলছেন, ফিট আছেন এবং বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন- এটা সত্যিই অসাধারণ। তিনি জানেন সৌদি আরবে খেলা তার পরিবার ও জীবনযাত্রার সঙ্গে মানানসই, তাই সে জায়গায় তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।’
দুটি টানা গোল্ডেন বুট জিতে সৌদিতে নিজের আধিপত্য প্রমাণ করেছেন সিআর৭। জাতীয় দলেও ছন্দে আছেন, সর্বশেষ ইউরোপীয় নেশন্স লিগ জয়েও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পর্তুগালের জার্সিতে ২২১ ম্যাচে ১৩৮ গোল করে গড়েছেন ইতিহাস। আর এখন তার চোখ ১০০০ গোলের মাইলফলকের দিকে।
মিউলেনস্টিন বলেন,‘রোনালদো সবসময় কোনো না কোনো লক্ষ্যকে সামনে রেখে খেলে। তিনি রেকর্ডের পেছনে ছুটতে ভালোবাসেন। সৌদিতে খেলার অভিজ্ঞতা তাকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে এবং শিরোপার প্রতি তার ক্ষুধা এখনো আগের মতোই তীব্র।’
২০২৬ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে ছয়বারের মতো বিশ্বমঞ্চে খেলতে নামবেন রোনালদো। পর্তুগাল দলের তারুণ্য, গুণগত মান ও গভীরতা নিয়ে আশাবাদী তার সাবেক কোচ।
‘তাদের দলে দারুণ প্রতিভা আছে। আপনি রোনালদোর কাছ থেকে এখন আর ২৮ বছরের ফর্ম আশা করতে পারেন না, কিন্তু তিনি অভিজ্ঞতা দিয়ে দলের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবেন। পর্তুগাল এমন একটি দল, যারা যে কোনো সময় সেমিফাইনাল বা ফাইনালে পৌঁছাতে পারে।’
জাতীয় দলে রেকর্ড গড়া এবং ক্লাব ফুটবলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পাশাপাশি, এখন রোনালদোর বড় স্বপ্ন বিশ্বকাপ ট্রফি। এটিই তার ক্যারিয়ারে একমাত্র অপূর্ণতা।
মিউলেনস্টিনের মতে, সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। রোনালদো এবং পর্তুগালের সামনে সুযোগ রয়েছে নতুন ইতিহাস লেখার। আর ফুটবল দুনিয়া তাকিয়ে থাকবে- এই কিংবদন্তি কি পারবেন তার শেষ বিশ্বকাপে পূরণ করতে ‘স্বপ্নের অপূর্ণতা’?
মন্তব্য করুন