

বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানালেন, ভারতের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচে তাদের সামনে বড় সুযোগ আছে — কারণ এটিই তিনি মনে করেন দেশের এখনকার সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামের ভিন্ন রং, গ্যালারির উত্তাপ আর তরুণ-অভিজ্ঞদের মিশেলে থাকা দলটিকে নিয়ে জামালের ভালো কিছু উপহার দেওয়া আশা।
২০১৩ সালে অভিষিক্ত এই মিডফিল্ডার এখন পর্যন্ত জাতীয় জার্সিতে ৯২ ম্যাচ খেলেছেন; ভারতের বিপক্ষে খেলা ৬ ম্যাচে অবশ্য্ এখনও জয় পাননি বাঙালি ফুটবলাররা। জামাল মনে করান, সেই ধারাবাহিকতা ভেঙে নিজেদের মর্যাদা ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি — এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে,’ বললেন তিনি।
২০২৫ সালে এখনও ভালো মসৃণ বছর বলা যাবে না — সাত ম্যাচে জয়ের সংখ্যা একটিই, ভুটানকে হারিয়ে। তবু জামালের আশা, “যদি কালকে আমরা ভারতকে হারিয়ে বছরটা শেষ করতে পারি, তা হবে কেবল আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও দেশও এর থেকে শক্তি পাবে।” তিনি মনে করান, ম্যাচটি আবেগে ভরপুর—তাই সন্ত্রাসে না পড়ে মস্তিষ্কে খেলার ওপর জোর দেবেন তিনি।
‘এই ম্যাচে অনেক ফ্রি-কিক হবে, হলুদ কার্ড হবে, গালাগালি হবে; কিন্তু এগুলোকে স্বাভাবিকভাবে নেব,’ যোগ করেন জামাল।
জামাল নিজের দলের দুর্বলতা স্বীকারও করেছেন—প্রধানত রক্ষণে কিছু ফাঁক দেখা যায়। তবে ভারতের আক্রমণাত্মক স্টাইলই যদি বেশি ওপরে উঠে আসে, তাহলে বাংলাদেশ আক্রমণে দুর্বলতাকে সুযোগে পরিণত করতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন। বিশেষ করে দ্রুতগতির উইঙ্গার রাকিবকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করলে প্রতিপক্ষ রক্ষণ ভাঙা সহজ হবে—“রাকিব সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুতগতির খেলোয়াড়; তাকে যদি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি, তাহলে যে-ই রক্ষণ থাকুক, রাকিব তাকে তছনছ করতে পারে,” বলেন জামাল।
প্রস্তুতি ও মনস্তাত্ত্বিক দিকেও জামাল আস্থা রাখেন। জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপুল সমর্থকের সামনে দল যে মনোবল দেখাবে তাতে ভবিষ্যৎ এলো। আগামীকালের লড়াই কেবল তিন পয়েন্ট নয় — তা দেশের ফুটবলের আত্মবিশ্বাস ফেরানোরও এক সুযোগ।
মন্তব্য করুন