

২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়—এই রাতটি শুধু দেশের নয়, ব্যক্তিগতভাবে হামজা চৌধুরীর জন্যও বিশেষ হয়ে থাকবে। ম্যাচ শেষে তাইতো সংবাদ সম্মেলনে চোখে আনন্দ, কণ্ঠে ভাবনার মিল ছিল হামজার; বললেন, যে অনুভূতিটা আজ পাওয়া গেছে, তা তার ফুটবল জীবনের শীর্ষ মুহূর্তগুলোর মধ্যে থাকবে।
ভারতের বিপক্ষে ১–০ জয়ে বাংলাদেশের মিডফিল্ড ও রক্ষণভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হামজা বলেন, ‘গত কয়েকটি ম্যাচে আমরা শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট হারিয়েছি। আজ সেটা আর হয়নি। সবাই মিলেই কঠোরভাবে কাজ করেছে—খেলোয়াড়রা, স্টাফরা—আর তাই ফল পেয়েছি। এটা অনেকের জন্যই স্বস্তির।’
আরও পড়ুন : ভারতকে হারানোয় হামজাদের জন্য ২ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক বোনাস
হামজা উল্লেখ করেন যে টিম কন্টিনিউয়াস ক্যাম্পে প্রায় ২৩ দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে; যদিও তিনি ও সামিত পরে দলে যোগ দিয়েছিলেন, তবু দলীয় কাজের ধারাবাহিকতা তাদের সহজে ম্যাচের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে। ‘ক্যাম্পের আগে থেকে যারা কাজ করেছে—তাদের ত্যাগের ফল আজ আমরা দেখছি,’ যোগ করেন তিনি।
নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করে হামজা আরও বলেন, “আমি লেস্টারে থাকাকালীন এফএ কাপ জিতে ছিলাম—সেটাও মর্যাদার মুহূর্ত। কিন্তু আজকের আনন্দটা ভিন্ন। এখানে আমরা কোটি মানুষের হৃদয়ে খুশি জাগাতে পেরেছি—এই অনুভূতি যেমন অনন্য, তেমনি আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তগুলোর মধ্যে এটি থাকবে।”
একই সঙ্গে তিনি বলেন দল এখনো সামগ্রিক লক্ষ্য থেকে দূরে—মূল পর্বের টিকিট না পাওয়া দুঃখ তাদের মধ্যে আছে। তবে হামজার প্রত্যয়, “এগুলো শেখার অংশ। মার্চে আমরা আবার তৈরি হবো; পারফরম্যান্স আর ফল—দুটোই একসাথে নিয়ে আরও শক্তিশালী দল হিসেবে প্রত্যাবর্তন করব।”
হামজা দলের গণযোগাযোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, “এটা শুধু খেলোয়াড়দের জয় নয়—পুরো জাতির জয়। দর্শক, সমর্থক সবাইকে ধন্যবাদ।”
মন্তব্য করুন