

২২ বছর ধরে যে প্রতীক্ষা, তা ভেঙেছে মঙ্গলবারের রাত। ভারতের বিপক্ষে দীর্ঘ বিরতির পর জয়—আর সেই মুহূর্তটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে জাতীয় ফুটবল দলের জন্য ২ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে কাঙ্ক্ষিত তিন পয়েন্ট আসে মোরসালিনের ১৩ মিনিটের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে। লিড ধরে রাখার বাকি কাজটা জমাট রক্ষণ আর হামজা চৌধুরীর নেতৃত্বে মাঝমাঠ সামলে করে ফেলে দল। ভারত পুরো ম্যাচে সমতায় ফেরার সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের শৃঙ্খলিত ডিফেন্সের সামনে পথ খুঁজে পায়নি।
জয়ের গুরুত্ব তাই শুধু পরিসংখ্যানে নয়, মনোবলেও। ২০০৩ সালের ঢাকার সেই ২–১ জয় ছিল শেষ সাফল্য। দুই দশক পার হয়ে এবার ফিরল নতুন ইতিহাস। ভারত-বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ৩০ বার—তার মধ্যে এ ছিল বাংলাদেশের চতুর্থ জয়।
হামজা–সামিতদের আগমনে দলের চেহারা বদলে যাওয়ার কথাও নতুন করে উজ্জীবিত করছে ভক্তদের। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোয় প্রতিপক্ষকে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলেছে লাল–সবুজেরা—হংকংয়ের সঙ্গে ড্র, আরেক ম্যাচে শেষ মুহূর্তে হার, নেপালের বিপক্ষে জেতা ম্যাচ ড্র হয়ে যাওয়া—সব মিলিয়ে বাংলাদেশ উন্নতির ধারায় আছে, এই জয় যেন তার স্পষ্ট প্রমাণ।
ভারতকে হারানোর আনন্দে ডুবেছে দল, স্টেডিয়াম, আর পুরো দেশ। তার ওপর পুরস্কারের ঘোষণা—ঐতিহাসিক রাতটিকে আরও দীপ্ত করে তুলল।
মন্তব্য করুন