দিনের শুরুতে ম্যানচেস্টার সিটির হারে লিভারপুলের সামনে সুযোগ ছিল প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে ওঠার। সামনে প্রতিপক্ষ এই মৌসুমে দুর্দান্ত খেলতে থাকা টটেনহাম। তবে দুই লাল কার্ড লিভারপুলের শীর্ষে ওঠার স্বপ্ন সত্যি হতে দেয়নি। উল্টো শেষ সময়ের আত্মঘাতী গোলে টটেনহামের স্টেডিয়াম থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে অল রেডদের।
লন্ডনের টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৬ মিনিটে ১০ জন আর ৬৯ মিনিটে নয়জনের দলে পরিণত হয় লিভারপুল। মাঝে রুবেন দিয়াজের একটি গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডে। এত কিছুর পরও টটেনহামের মাঠ থেকে এক পয়েন্ট তুলে নেওয়ার পথে ছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তবে দিনটি যে লিভারপুলের ছিল না নইলে ৯৬ মিনিটে কেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা জোয়েল মাতিপ আত্মঘাতী গোল করে বসবেন। শেষ বাঁশির ক্ষণিক আগে মাতিপের ওই আত্মঘাতী গোলেই টটেনহামের মাঠে ২–১ ব্যবধানে হেরে গেছে লিভারপুল।
এই পরাজয়ে ক্লপের দল পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে নামার সাথে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডও খুঁইয়েছে।
আজ ম্যাচের শুরু থেকেই জমজমাট খেলথে থাকে লিভারপুল। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় ম্যাচের ২৬ মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার কার্টিস জোনস লাল কার্ড দেখলে। প্রথমে ইয়েভেস বিসোউমাকে ট্যাকল করায় হলুদ কার্ড দেখেন কার্টিস জোনস। তবে রিপ্লে দেখে ইংলিশ মিডফিল্ডারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। যদিও সিদ্ধান্তটি বেশ বিতর্কিত বলেই মনে হবে। এরপর দশজনের লিভারপুল এগিয়েও যায়। তবে আবার বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে অফসাইডের অজুহাতে গোলটি বাতিল হয়। ৩৬ মিনিটে টটেনহাম এগিয়ে যান সন হিউং-মিনের গোলে। তবে বিরতির আগে সেই গোল শোধ করেন গাকপো। টটেনহামের হয়ে সন আরেকবার বল জালে অফসাইডের পতাকায় বেঁচে যায় লিভারপুল।
লিভারপুলের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা দিয়োগো জোতা ৬৮ মিনিটে প্রথম আর এক মিনিট পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বিদায় নিলে । টটেনহাম অবশ্য দুজন খেলোয়াড় বাড়তি পাওয়ার সুবিধাও কাজে লাগাতে পারছিল না। ম্যাচের ৯৬ মিনিটে পোরোর ক্রস বক্সের সামনে যাওয়া রুখে দিতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন মাতিপ। নাগালে থাকা এক পয়েন্ট মুহূর্তেই ‘নাই’ হয়ে যায় লিভারপুলের জন্য।
মন্তব্য করুন