বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দেওয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। বসুন্ধরা গ্রুপ দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ ২০২২-২৩ প্রতিযোগিতায় অবৈধ্য খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছিল সংস্থাটি। এরপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেছিল বিকেএসপি। যা পর্যালোচনা করে শাস্তি প্রত্যাহার করে নেয় বাফুফের আপিল কমিটি।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেএসপির নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানা মওকুফ করেছে বাফুফের আপিল কমিটি। বিকেএসপির সিনিয়র কোচ শাহেনুরকে মাফ করলেও আরেক কোচ রবিউল ইসলামের শাস্তি বহাল রেখেছে আপিল কমিটি।
বিকেএসপিকে গৃহীত সিদ্ধান্তের চিঠি পাঠিয়েছে বাফুফের আপিল কমিটি। বাফুফের নেওয়া সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার সাদাত আবু মো. ফুয়াদ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছিলাম। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকেএসপি কোনো অন্যায়-অনিয়ম করেনি। আপিল কমিটি আমাদের আবেদনটি গুরুত্ব সহকারে দেখেছে। তাদের সিদ্ধান্তকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এর মাধ্যমে প্রকৃত সত্যের জয় হলো।’
নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার সিদ্ধান্ত বদলালেও বিকেএসপির পয়েন্ট কাটাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে ডিসিপ্লিনারি কমিটির দেওয়া শাস্তি বহাল রেখেছে আপিল কমিটি। বিকেএসপির ফুটবলারদের নিজেদের দলে খেলার জন্য ২০২৩ সালের মে মাসে চুক্তি স্বাক্ষর করেচিল চকবাজার কিংস। চুক্তি অনুসারে তৃতীয় বিভাগ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল লিগে চকবাজারের হয়ে অংশ নেন বিকেএসপির নাইমুর রহমান, হাসান মিয়া ও মো. জিফাত। এরপর দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের জন্য খেলোয়াড় নিবন্ধনের সময় ফেঁসে যান তারা। এ কারণে বিকেএসপির দুই কোচ শাহিনুর ও রবিউলসহ চার ফুটবলারকেও সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে আগামী এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাফুফে।
মন্তব্য করুন