দেশের ফুটবলের সার্বিক দিক বিবেচনা করলে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলকে পুরুষ দলের চেয়ে কম বলা যাবে না। ২০২৩ সালে ফুটবলকে বেশ কিছু সুখ স্মৃতি উপহার দিয়েছিলেন তারা। তবে ২০২৩ পেরিয়ে ২০২৪ এলেও গত হওয়া বছরের শেষ দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়ে গেছে সাবিনা খাতুনদের।
২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বাফুফে ৩১ নারী ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বর্ধিত হারে বেতন পাওয়ার কথা ছিল সাবিনা-মারিয়াদের। তবে ২০২৩ সালের শেষ চার মাসের মধ্যে এখনও দুই মাসের বেতন বাকি তাদের।
এদিকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বেতন ও ম্যাচ ফি ছাড়াই বাড়িতে গিয়েছিলেন নারী ফুটবলাররা। এরপর তারা অক্টোবর মাসের বেতন পেয়েছিলেন। পনেরো দিনের ছুটি কাটিয়ে সাবিনারা অনুশীলনে ফিরলেও এখনও নভেম্বর মাসের বেতন পাননি তারা।
ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার নারীদের বেতন বকেয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘নভেম্বরের বেতন ও সিঙ্গাপুরের ম্যাচ ফি ফুটবলাররা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পাবে।’
জানা যায়, বাফুফের বেতনের চেকে স্বাক্ষর করার অধিকার রয়েছে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের। তাদের মধ্যে সালাউদ্দিন সার্জারির পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্য দু’জন ব্যস্ত আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে। তবে সাবিনাদের বেতনের জন্য সালাম ও নাবিলের নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে কাগজপত্র পাঠিয়েছে বাফুফে।
এদিকে সাবিনাদের বেতন না জুটলেও, ফেডারেশনের কর্তারা মাস শেষ হওয়ার আগেই ডিসেম্বর মাসের বেতন হাতে পেয়েছেন। ফেডারেশন অন্য স্টাফরা পেলেও সাবিনারা পাননি। এর পেছনের সঠিক কারণ প্রকাশ্যে না আনলেও সাধারণ সম্পাদকের কণ্ঠে প্রতিকারের আশ্বাস, ‘নারী ফুটবলাররা আমাদের চেয়ে এক মাস পিছিয়ে। জানুয়ারির মধ্যে এটা ঠিক হয়ে যাবে।’
নারী ফুটবলাররা বাফুফের কর্মকাণ্ডে বেশ হতাশ হয়েছেন। সাফের পর খেলা নেই, এ ছাড়া আরও অনেক বিষয়েও অভিমানে অনেক ফুটবলারই ক্যাম্প ছেড়েছিলেন। আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর অন্য মেয়েরা খানিকটা আশা পেলেও বর্তমান কর্মকাণ্ডে আবার তাদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন