আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসির পিএসজি অধ্যায় ভালো যায়নি। গত মৌসুমের শেষে পিএসজি ত্যাগের সময় নিজেই তা স্বীকার করেন। এছাড়াও পিএসজির বর্তমানের প্রধান তারকা এমবাপ্পেও বলেন যে, মেসি তার প্রাপ্য সম্মানটি পাননি। মেসি পিএসজি ছেড়ে বর্তমানে আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে। তবে তিনি পিএসজি ছাড়লেও ক্লাবটির মধ্যকার নেতিবাচক প্রভাব মেসির পিছু ছাড়ছে না। যার মধ্যে রয়েছে এবার নতুন অভিযোগ।
এবার মেসি ও পিএসজিকে জড়িয়ে নতুন এক খবর সামনে এসেছে যেখানে বলা হচ্ছে, মেসির ব্যালন ডি’অর নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাকি কর্তৃপক্ষের কাছে পিএসজি তদবির করেছে যা পিএসজিকে ফরাসি প্রোসিকিউটর অফিসে তদন্তের মুখে ফেলেছে।
২০২১ সালে লিওনেল মেসিকে ব্যালন ডি’ অরের জন্য ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের কাছে বিশেষ সুপারিশ করেছিল তার সে সময়ের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। সম্প্রতি ফ্রান্সের এই ক্লাবটির ওপর এমন অভিযোগ এনেছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা মুন্ডে। এতে বলা হয়, ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জেতার পর তার জন্য ভোটকে প্রভাবিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায় ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমটি আরও বলে, পিএসজি কর্তৃপক্ষ ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর সাবেক প্রধান এবং ব্যালন ডি’অরের সংগঠক পাসকেল ফেরেকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। ক্লাবটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিয়ে ফেরের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ফরাসি ক্লাবটিতে থাকার সময়ই মেসির ব্যালন ডি’অরপ্রাপ্তির আশা ছিল পিএসজির। কারণ, ক্লাবে থাকা অবস্থায় কোনো খেলোয়াড়ের ব্যালন ডি’অর জেতা মানে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়া।
এছাড়াও মেসিকে ভোট দেওয়ার শর্তে অনেক সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রিসভা বা প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সদস্যরা পিএসজির টিকিট চেয়ে আবেদন করেছিলেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। ক্লাবটির সে সময়কার প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জন-মার্শিয়াল রাইবসের কাছে এসব আবেদন করা হয়েছিল। তবে তিনি এতে সম্মতি দিয়েছিলেন কিনা তা জানা যায়নি। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
এখন পর্যন্ত পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করেনি পিএসজি এবং ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃপক্ষ। তবে এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ফেরে এবং তাঁর পক্ষের লোকজন। তাদের দাবি, মেসিকে ২০২১ সালের ব্যালন ডি’অর জেতানোয় তাঁদের কোনো হাত ছিল না। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর সাবেক এই প্রধানের দাবি, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ২০২২ সালে পুরস্কার পাননি। আর ২০২১ সালে যেবার মেসি সপ্তম ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন, সেবার ফেরে নিজে ভোট দিয়েছিলেন পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কিকে।
মন্তব্য করুন