২০২১ সালের মার্চে সিলেটে সিশেলসের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল এলিটা কিংসলির। অভিষেকের পরই বলেছিলেন, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপই তার মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরাতে চান তিনি। কিন্তু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব ছেড়ে বাংলাদেশি হওয়া এই স্ট্রাইকারের।
আগামী ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টের জন্য ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ৩০ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও চূড়ান্ত দলে কিংসলিকে রাখেননি বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। এর আগে ২০২১ সালে মালদ্বীপে হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন তিনি।
সাফের ঘোষিত দল থেকে বাদ পড়লেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপ—এই দুই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা (৯) ছিলেন কিংসলি। এ ছাড়া দল থেকে বাদ পড়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা মোহামেডান স্ট্রাইকার সাজ্জাদ হোসেনও (৫)। তবে তুলনামূলক খারাপ করা সুজন রেজা সুযোগ পেয়েছেন।
দলে জায়গা পাওয়া ছয় ফরোয়ার্ড হলেন- ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আমিনুর রহমান সজীব, রাকিব হোসেন, সুমন রেজা ও নবাগত রফিকুল ইসলাম। তবে বাদ পড়েছেন মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি ও শাহরিয়ার ইমন, গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
বাংলাদেশ দল শনিবার দুপুরে কম্বোডিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে। সেখানে স্থানীয় টিফি আর্মি এফসির সঙ্গে ১২ জুন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজেরা। এরপর ১৫ জুন ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়ার সঙ্গে লড়বে জামাল ভূঁইয়ার দল। এরপর চলে যাবে ভারতে।
শুক্রবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে কোচ কাবরেরা বলেন, ‘সাফে আমাদের প্রতিপক্ষ কঠিন। ফুটবলারদের সামর্থ্য আর মানের কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কাজেই সেভাবেই আমি দল তৈরি করেছি। কঠিন প্রতিযোগিতা, খেলোয়াড়দের সামর্থ্য ও মান- এই তিন বিবেচনায় দল নির্বাচন করা হয়েছে।’
কোচ কাবরেরার মতে, এবারের সাফে বাংলাদেশের লক্ষ্য সেমিফাইনালে খেলা। লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করলে কোচের উত্তর, ‘ঢাকায় ইতিবাচক ক্যাম্প হয়েছে। আমরা কিছু চোট সমস্যায় ভুগছি। তারপরও আমরা ইতিবাচক আছি’।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : গোলকিপার : আনিসুর রহমান, শহিদুল আলম, মিতুল মারমা। রক্ষণ : তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, রহমত মিয়া, আলমগীর মোল্লা, মেহেদি হাসান, ইসা ফয়সাল। মাঝমাঠ : মোহাম্মদ হৃদয়, সোহেল রানা, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, মজিবর রহমান, সোহেল রানা, রবিউল হাসান। আক্রমণভাগ : ফয়সাল আহমেদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আমিনুর রহমান, রাকিব হোসেন, সুমন রেজা ও রফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন