আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের হয়ে তেমন কিছু না জিতলেও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হৃদয় ঠিকই জিতে নিয়েছিলেন সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা কার্লোস তেভেজ। "এল অ্যাপাচি" ডাকনাম পাওয়া এই ফুটবলার ফুটবল খেলা ছাড়লেও ফুটবলকে ছাড়তে পারেননি। বর্তমানে আর্জেন্টিনায় কোচিং করানো সাবেক এই ফুটবলার অবশ্য খবরের শিরোনাম হয়েছেন অন্য কারণে। বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তেভেজ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ করে বুকে ব্যথা শুরু হলে আর্জেন্টিনার সান ইসিড্রোর পাশে বুয়েনস আইরেসের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয় তাকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
এরআগে রাতেই আর্জেন্টিনায় থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪০ বছর বয়সী সাবেক এই ফুটবল তারকা। আর্জেন্টিনার যে ক্লাবে কার্লোস তেভেজ কোচিং করান, সেই ইন্ডিপেনডিয়েন্তে সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় জানায়, ‘আমাদের কোচ কার্লোস তেভেজ বুকে ব্যথা নিয়ে সান ইসিড্রোর লা ত্রিনিদাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে আশঙ্কামুক্ত ঘোষণা করেছেন।’
খবরে আরো বলা হয়েছে, তেভেজের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে আরো জানতে চিকিৎসকরা আরও কয়েকটি পরীক্ষা করবে। তবে সেটিকে সাধারণ চেক-আপ বলে উল্ল্যেখ করেছে ইন্ডিপেনডিয়েন্তে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকতে হবে তাকে। তবে অসুস্থতার বিষয়ে তেভেজ বা তরফ থেকে কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অবশ্য তেভেজের ক্লাবের দাবি এই মুহূর্তে তাদের কোচ সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন এবং পরীক্ষা শেষ হলেই ডাগআউটে যোগ দেবেন। তেভেজ আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে চলাচল করেন।
এর আগে গত বছরই একটি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে। এবার হঠাৎ বুকের ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায় বাম চোখের ওপরে কিছুটা আঘাতও পেয়েছেন সাবেক এই ফুটবলার।
কার্লোস তেভেজ তার ফুটবল ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি ক্লাবের জন্য খেলেছেন। জ্যুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবে খেলা এই ফুটবলার ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এবং ২০০৯ সালে লিগ কাপ জিতেন।
ক্যারিয়ারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলা ১৪ জন ফুটবলারের মধ্যে তিনিও একজন। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে তেভেজের যাত্রা শুরু ২০০১ সালে। যুব দল পেরিয়ে ২০০৪ সালে সিনিয়র দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর খেলেন ২০১৫ সাল নাগাদ। দেশের হয়ে ৭৬ ম্যাচে এই ফরোয়ার্ডের গোলসংখ্যা ১৩টি।
মন্তব্য করুন