কিক-অফের পর থেকে হ্যারি সুতারের সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে ছিলেন তপু বর্মণ। ম্যাচের বিভিন্ন অংশে এ সেন্টারব্যাক মেজাজ হারান, করেন কটূক্তিও। তাতেও হাল ছাড়েননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের পর দুজনকে দীর্ঘসময় কথা বলতে দেখা গেছে, করেছেন জার্সি বদলও।
শুক্রবার (৭ জুন) কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার আগে কালবেলাকে তপু বর্মণ জানিয়ে গেলেন, সেদিন মাঠে কী হয়েছিল সকারু ডিফেন্ডারের সঙ্গে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হোম ম্যাচে জামাল ভূঁইয়া একাদশে না থাকায় অধিনায়কের দায়িত্ব ছিল তপু বর্মণের ওপর। ম্যাচে হ্যারি সুতারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তপু বর্মণ বলছিলেন, ‘৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার হ্যারি সুতার শারীরিক সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ম্যাচে গোল করেন। নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষেও গোল করেছিলেন তিনি। এ কারণে হোম ম্যাচে লেস্টারসিটির এ ডিফেন্ডারকে সামলানোর দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। সেটপিসের সময় যখনই সুতার আমাদের বক্সে এসেছেন, আমি তার সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে ছিলাম। তাতে বেশ বিরক্ত হয়েছে সে।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠে আসা বসুন্ধরা কিংসে খেলা এ ডিফেন্ডার আরও বলেন, ‘মেজাজ হারিয়ে একপর্যায়ে সুতার আমাকে কটূক্তিও করেছেন। তাতেও আমি হাল ছাড়িনি। একপর্যায়ে তিনি আমাকে বলছিলেন, লেস্টারসিটিতে হামজা চৌধুরী আমার সতীর্থ। আমি তাকে বলে দেব, যাতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সে না খেলে! এ কথা শুনে আমি হেসেছি। কারণ আমি জানতাম, আমাকে খেপিয়ে তুলতেই এমনটা বলছিলেন তিনি।’
ম্যাচের পর দুই দলের দুই সেন্টারব্যাক গল্প করতে করতে মাঠ ছাড়েন। পরে জার্সি বদল করেন তপু বর্মণ ও হ্যারি সুতার।
এ সম্পর্কে তপু বর্মণ বলেছেন, ‘মাঠে অনেক কিছুই ঘটে। ম্যাচের পর ওগুলো মনে রাখতে হয় না। মাঠের ঘটনা আমি ভুলে গেছি, হ্যারি সুতারও ভুলে গেছেন। সে সময় আমাদের মাঝে ইতিবাচক কথা হয়েছে। সৌহার্দ্যর অংশ হিসেবে আমরা জার্সিও বদল করেছি।’
মন্তব্য করুন