‘উইমেন ইন লিডারশিপ’ (ডব্লিউআইএল) প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী নারীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে প্রথম দলে আট সপ্তাহব্যাপী অনলাইন সেলফ-অ্যাকসেস লিডারশিপ অনলাইন কোর্স চালু করল। লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ও পিয়ার মেন্টরিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে ২০২৪ এর ডব্লিউআইএল প্রোগ্রাম।
এ প্রোগ্রাম ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত এবং নিজ নিজ খাত ও কমিউনিটিতে নারীদের নেতৃত্বের বিকাশে ভূমিকা রাখতে উদীয়মান নারী নেতাদের নেতৃত্ব অর্জনে প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করা।
ব্রিটিশ কাউন্সিল, ক্লোর সোশ্যাল লিডারশিপ ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের অংশীদারত্বে এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস উইমেন নেটওয়ার্কের (বিসিএসডব্লিউএন) সহযোগিতায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ উইমেন ইন লিডারশিপ (উইল) প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিসিএসডব্লিউএনর ৩০ জন উদীয়মান নারী নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন খাতের ২০ জন তরুণ নারী পেশাজীবী ডিজিটাল ফেলোশিপের মাধ্যমে তাদের নেতৃত্ববিষয়ক সক্ষমতা এবং দক্ষতা বিকাশের সুযোগ পাবেন। যার মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ, অনলাইন নেটওয়ার্কিং, মেন্টরশিপ এবং অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করা সুযোগ। এ প্রোগ্রামে ৬টি ভার্চুয়াল স্পিড মেন্টরিং সেশন আয়োজনে করা হবে, যেখানে অংশ নিবেন দেশের বিশিষ্ট এবং খ্যাতিমান নারী কর্মী। যারা লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বদান সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।
৬টি ওয়েবিনারের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা কী শিখেছেন, তাদের ভাবনা ও অভিজ্ঞতা এবং প্রকল্প থেকে তাদের অর্জনগুলো সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করা এবং বিষয়গুলো আলোকপাত করার সুযোগ পাবেন।
আগামী মার্চে ঢাকায় দিনব্যাপী নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট (উইল সামিট) অুনষ্ঠিত হবে। যেখানে শীর্ষস্থানীয় কর্মরত নারীরা নীতিনির্ধারক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীরা অনলাইন কোর্স ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের নেতৃত্ব, দক্ষতা বিকাশ এবং নিজ দেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে আন্তঃ-সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করার সুযোগ পাবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা বলেন, ‘ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে লিঙ্গ-সমতা এবং নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি করা বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের অন্যতম লক্ষ্য। এই লক্ষ্যের সঙ্গে একাত্মতা রেখে গৃহীত এই প্রোগ্রাম নারী নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে নারীরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ক্যাডার সার্ভিসকে যেমন শক্তিশালী করে যাচ্ছি, তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করছি। এই অংশীদারত্বমূলক উদ্যোগ বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পেশাজীবীদের ক্ষমতায়নের জন্য একটি ন্যায্য পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখবে এই প্রকল্প।’
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশসা বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে বলা যায়, রাজনীতি, বিনোদন, ব্যবসা ও আইটিসহ অন্যান্য খাতের নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকায় নারীদের প্রতিনিধিত্ব অনেক কম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে নারী নেতৃত্বের উন্নয়নে অবদান রাখতে পেরে আমরা গর্বিত।
মন্তব্য করুন