ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে ‘কমনওয়েলথ অ্যালামনাই প্রদর্শনী ও নেটওয়ার্কিং সন্ধ্যা’ আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন (সিএসসি) এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কমনওয়েলথ অ্যালামনাইরা একত্রিত হন।
আলোচনায় মূলত উদ্যোক্তা তৈরি, উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিয়ে মতবিনিময় হয়। যেখানে বক্তা ও অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মতামত ও সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন। বক্তারা উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা তৈরি এবং দেশের তরুণ ও পেশাজীবীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ স্কলাররা ব্যবসা, উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নিজেদের সাফল্যের গল্প শেয়ার করেন এবং সহযোগিতার আহ্বান জানান। তারা যুক্তরাজ্যের বৃত্তির মাধ্যমে পরিবর্তন-সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
এ উদ্যোগে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিশ্রুতিও তুলে ধরা হয়—যাতে যুক্তরাজ্যে শিক্ষাপ্রাপ্ত পরিবর্তন-সৃষ্টিকারীরা বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, শুধু এ বছরেই আমরা গত মাসে প্রি-ডিপার্চার ব্রিফিং-এ নতুন ২৭ জন কমনওয়েলথ স্কলারকে স্বাগত জানানোর সুযোগ পেয়েছি। তাদের এনার্জি, প্রতিভা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে কেন আমরা এ কাজ করি। আর আজ, বিভিন্ন খাত, অভিজ্ঞতা ও প্রজন্মের এত অ্যালামনাইকে এক সঙ্গে দেখে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি—এ বৃত্তিগুলো ব্যক্তিগত জীবন এবং আমাদের সমাজে কত গভীর ও স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এক সেতুবন্ধন, যারা কৌতূহল, সম্মান ও সহযোগিতার অভিন্ন মূল্যবোধ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি, আপনারা এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করবেন—যোগাযোগ করবেন, খোলামেলা মত বিনিময় করবেন এবং একসাথে কাজ করার নতুন উপায় খুঁজে বের করবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন, স্বাধীন অভিবাসন গবেষক ইশরার হাবিব, স্বাস্থ্যসেবা উদ্ভাবন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বায়োমার্কার ডিসকভারি-তে বিশেষজ্ঞ গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. অভিষেক কুমার ঘোষ, স্বাস্থ্য গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব, জেন্ডার ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ইশরাত জাহান খান (বর্ষা), মানসিক স্বাস্থ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকেন্দ্রিক জনস্বাস্থ্য গবেষক ড. এম. তাসদিক হাসান, ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ-এর জনস্বাস্থ্য পেশাজীবী নাজিয়া ইসলাম এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. শফিক-উর-রহমানসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন