কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড মেমোরির তালিকায় সুলতানা'স ড্রিম

ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড মেমোরির (বিশ্বস্মৃতি) তালিকায় স্থান পেয়েছে সুলতানা'স ড্রিম। ছবি : সংগৃহীত
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড মেমোরির (বিশ্বস্মৃতি) তালিকায় স্থান পেয়েছে সুলতানা'স ড্রিম। ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড মেমোরির (বিশ্বস্মৃতি) তালিকায় স্থান পেয়েছে নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের উপন্যাস সুলতানা'স ড্রিম। এর মধ্য দিয়ে বাংলা অঞ্চলে নারী স্বাধীনতার অন্যতম পথিকৃৎ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ঐতিহ্যগত উত্তরাধিকারের স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ।

মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলান বাটোরে ইউনেস্কোরর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড কমিটি ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক' বা মৌক্যাপের দশম সাধারণ সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে পক্ষে মৌক্যাপের কাছে 'সুলতানা'স ড্রিম' এর নামের আবেদন জানিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সনদ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

এবারের তালিকায় আরও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নয়টি দেশের আরও ১৯টি স্মরণীয় প্রামাণ্য দলিল। সেগুলোর মধ্যে আছে ভারতের তুলসীদাস রচিত ‘রামচরিত মানস’-এর পাণ্ডুলিপি, চীনের ঐতিহ্যবাহী চেংরু টি হাউস মহাফেজখানা এবং ইন্দোনেশিয়ার ইমাম বনজলের পাণ্ডুলিপি। স্বীকৃতির তালিকায় দ্বিতীয় নামটি বাংলাদেশের। ৮ থেকে ১০ মে মঙ্গোলিয়ার উলান বাটোরে মৌক্যাপের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গোলিয়া থেকে দেশে ফিরে মফিদুল হক কালবেলাকে জানান, ইউনেসকোর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক দপ্তরের একটি বাছাই কমিটি রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশনের মাধ্যমে গত বছর সুলতানা’স ড্রিম এর প্রাথমিক আবেদন করা হয়েছে। এরপর কমিটি দীর্ঘ সময় নিয়ে এর পর্যালোচনা করে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ঐতিহাসিক ও সমকালীন গুরুত্বের পাশাপাশি আরও বহু বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব বিবেচনার শেষে ‘বিশ্বস্মৃতি’র তালিকায় সুলতানা’স ড্রিম-এর নাম যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় মৌক্যাপ সাধারণ সভা।

বিজ্ঞান কল্পগল্পের আদলে লেখা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নারীর মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ এই কাহিনি ১৯০৮ সালে কলকাতার এস কে লাহিড়ী অ্যান্ড সন্স থেকে বই হিসেবে প্রকাশিত হয়। তবে লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯০৫ সালে, মাদ্রাজের দ্য ইন্ডিয়ান লেডিজ ম্যাগাজিনে। দিল্লির প্রাইম মিনিস্টার মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরিতে সেটি সংরক্ষিত আছে। মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে এর ডিজিটাল ভার্সন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে উপহার দেওয়া হয়। রোকেয়া-পরিবারের উত্তরসূরি মাজেদা সাবের মূল বইয়ের একটি প্রতিলিপিও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে উপহার দিয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

একদিনের সফরে কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১০

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১১

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১২

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৩

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৪

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

১৫

উমামা-সাদীর নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

১৬

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩১১ জন

১৭

ডাকসু নির্বাচন / ডাকসু ভোটারদের মির্যা গালিবের ৩ পরামর্শ

১৮

বাংলাদেশি সন্দেহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারধর

১৯

মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কান্না করলে কি কবরে আজাব হয়?

২০
X