মালির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও দুজন সামরিক কর্মকর্তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন সোমবার এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। খবর আলজাজিরার।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিরা হলেন মালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কর্নেল সাদিও কামারা, বিমানবাহিনীর প্রধান কর্নেল আলু বই দিয়ারা এবং সহকারী প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আদাম বাগায়োকো। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটিয়া সেনা ওয়াগনারের পশ্চিম আফ্রিকায় উত্থানে সহযোগিতার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন অভিযোগ করেন, তারা তিনজন ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে মালিতে ওয়াগনারকে সুবিধা ও তাদের বিস্তৃতিতে সহযোগিতা করছে। রাশিয়ার এ ভাড়াটিয়া সেনারা দেশটিতে প্রবেশের পর সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা ২৭৮ শতাংশ বেড়েছে। ওয়াগনার গ্রুপ ও মালির সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানের কারণে তাদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ব্লিঙ্কেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের আলাদা বিবৃতিতে ব্রিয়ান নেলসন বলেন, মালির কর্মকর্তা গত দুই বছর ধরে ওয়াগনার গ্রুপকে প্রতিরোধমূলক যান্ত্রিক সুবিধা দিচ্ছে। দেশটির কর্মকর্তারা ওয়াগনার সেনাদের অস্থিতিশীল কার্যকলাপ ও মানবাধিকারের বিরুদ্ধে জনগণকে দুর্বল করে ফেলেছে। তারা ইউক্রেনে অভিযানের সুবিধার জন্য দেশটির সার্বভৌমত্ব সম্পদ শোষণ করছে।
গত কয়েক বছর ধরে ওয়াগনারের বিদ্রোহ আফ্রিকায় রাশিয়ার অজর্নকে ম্লান করে দিয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা ওয়াগনার গ্রুপ ও তার সমর্থকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে আফিকান প্রজাতন্ত্র, মালি ও সুদানের ১৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওয়াগনারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে মারাত্মক ভূমিকা রাখছে। এ জন্য জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ওয়াগনারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দেয়। এ ছাড়া চলতি বছরের মে মাসে মালিতে ওয়াগনারের প্রধান প্রশাসক ইভান আলেকসান্দ্রভিচ মাসলভের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা দেয়।
মন্তব্য করুন