গত মাসের শেষের দিকে কোনো রক্তপাত ছাড়াই নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ। তবে তাদের এ অভ্যুত্থানকে ভালোভাবে নেয়নি আফ্রিকা অঞ্চলের ১৫ দেশের জোট ইকোয়াস। ৬ আগস্টের (রোববার) মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতা পুনর্স্থাপন করতে হুঁশিয়ারি দেয় জোট ইকোয়াস। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর কড়া বার্তাও দেওয়া হয়। সামরিক অভিযানের আশঙ্কা থেকে রাশিয়ার কুখ্যাত ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সহায়তা চেয়েছে নাইজারের জান্তা। খবর বার্তা সংস্থা এপির।
আরও পড়ুন : নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজারের অভ্যুত্থান নেতা জেনারেল সালিফু মুডি দু’দিন আগে পার্শ্ববর্তী দেশ মালিতে যান এবং সেখানে ওয়াগনার প্রতিনিধির সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক করেন। সোফান সেন্টারের গবেষক ও সাংবাদিক ওয়াসিম নাসের এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ প্রথম এ বৈঠক নিয়ে খবর প্রকাশ করে। পরবর্তী সময়ে মালির তিনটি সূত্র ও একজন ফরাসি কূটনীতিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন : আতঙ্কে নাইজার ছাড়ছে ইউরোপীয়রা
গত শুক্রবার জোট ইকোয়াসের সামরিক প্রধানরা নাইজারে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। এর আগের দিন ইকোয়াসের একটি প্রতিনিধি দল নাইজারের জান্তা প্রধান জেনারেল আবদুর রহমান চিয়ানির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের নাইজারে প্রবেশই করতে দেওয়া হয়নি। এরপর ইকোয়াস জোটভুক্ত দেশের সেনাপ্রধানরা সামরিক অভিযান চালানোর জন্য সেনাদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও সামরিক অভিযান চালানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জোটের সদস্য দেশগুলোর সরকারপ্রধানরা এবং এ অভিযান পরিচালনার আগে তাদের ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
এদিকে রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে এখন অবস্থান করছে। এর মধ্যে মালিতে তাদের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। মালিতেও ২০২১ সালে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এরপর ওয়াগনার গ্রুপ সেখানে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে। ওয়াগনারের সেনারা মালিতে যাওয়ার পর দেশটি থেকে ফ্রান্সের সেনাদের বের করে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন