মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬৭২ জন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ৬৭২ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে গত ছয় দশকের মধ্যে ভয়াবহ ভূমিকম্প এটি।
স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ৭ দশমিক ২ মাত্রার এ ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাহাড়ি অঞ্চল। এসব এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো মারাখোস অঞ্চল।
মোহাম্মদ আজাও নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি যখন বুঝতে পারি যে, আমার পায়ের নিচের মাটি কাঁপছে তখন আমি আমার সন্তানকে নিয়ে দৌড়ে বের হয়ে গেলাম। কিন্তু আমার প্রতিবেশীরা বের হতে পারেনি। তারা তাদের পরিবারের কেউ বেঁচে নেই। এরমধ্যে বাবা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া এখনো তার মা ও ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, গতকালের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেডিনের স্কি রিসোর্টের কাছে। এ জায়গাটি দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেশ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের কারণে দেয়াল ধসে গেছে। এখানে-সেখানে ধ্বংসস্তূপ সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কিত জনসাধারণ বাড়ি থেকে বের হতে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছেন। কেউ কেউ সড়কে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।
ব্রাহিম হিমি নামে মারাকেশের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তিনি পুরাতন শহর থেকে অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যেতে দেখেছেন। ভূমিকম্পে শহরের বিভিন্ন ভবনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসাওইরার এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি কিংবা আতঙ্ক ছড়ায়নি। ভূমিকম্পের সময় আমরা মানুষের চিৎকারের শব্দ শুনেছি।
শুক্রবারের ভূমিকম্পের পরপর মরক্কোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জিওফিজিক্সের পরিচালক নাসের জাবোর জানান, এই ভূমিকম্পের পর পরাঘাতের সম্ভাবনা কম।
এর আগে সর্বশেষ ২০০৪ সালে মরক্কোয় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ছয় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন