কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ এএম
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা
প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারে তার বাসভবনে প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। ছবি : এপি

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে দেশটির প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কমপাউন্ডে প্রবেশ করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘিরে রেখেছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিশংসিত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বাসভবনের কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেছেন দেশটির দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও পুলিশ। এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। সেটিই দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘটল।

আদালতের নির্দেশ থাকার পরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধার মুখে পড়েন কর্মকর্তারা। কমপাউন্ডের ভেতরে মূল বাসভবনের দিকে এগোতে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বাধা দেয়। বাইরে ইউনের সমর্থকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারাও নানাভাবে কর্মকর্তাদের কাজে বাধার সৃষ্টি করছেন।

তবে রয়টার্সের প্রতিনিধি প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস) ভেতরে ঠিক কী ধরনের আচরণ করছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, পিএসএস গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেবে না। অপর সূত্র পিএসএসের দৃঢ়তার ব্যাপারে সন্দিহান। শেষমেশ প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের বাধা অব্যাহত রাখবে কি না তাও নিশ্চিত নয়।

এদিকে কর্মকর্তারা এখনও গ্রেপ্তারের আশা ছাড়ছেন না। প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরের চত্বরে পুলিশের বেশ কয়েকটি বাস, কয়েক শ পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তারা অনড় অবস্থানে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছেন। সে সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেও সমঝোতা করে কর্মকর্তারা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছেন।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সিউলের একটি আদালত এ আদেশ জারি করেন। ৩১ ডিসেম্বর বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছিল।

৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে এ পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়। বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একাধিক তদন্তের মুখোমুখি ইউন। গত দুই সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আদেশ উপেক্ষা করেন তিনি। অবশেষে কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হওয়ার তিনটি সমন উপেক্ষা করার পরে এই পরোয়ানা আসে। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হতে পারে অথবা অন্য কোনো কারাগারেও পাঠাতে পারেন আদালত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বেগম জিয়ার জানাজা পড়াবেন যিনি

খালেদা জিয়াকে হারিয়ে কাঁদলেন বগুড়ার নেতাকর্মীরা

ফিফা বর্ষসেরা অনুষ্ঠানের পরবর্তী আসর দুবাইয়ে

বুধবারের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত

নারীর জানাজা ও দাফন-কাফনের নিয়ম

ভিশনহীন কর্মী, করপোরেট খাতের নীরব ঝুঁকি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে হেফাজতে ইসলামের শোক

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চবিতে ক্লাস স্থগিত

বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মাভাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলরের শোক

বাঁশ ঝাড়ের নিচ মিলল কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ

১০

যুবদল নেতাকে হত্যা

১১

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

১২

খালেদা জিয়ার তিন আসনের নির্বাচন নিয়ে আইন কী বলছে

১৩

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মমতা ব্যানার্জির শোক প্রকাশ

১৪

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি এক মহান অভিভাবককে হারাল : ১২ দলীয় জোট 

১৫

খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ার প্রস্তুতি চলছে

১৬

রংপুরের ছয় আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৫৬ জন প্রার্থী

১৭

বিলিয়নিয়ারের তালিকায় বিয়ন্সে

১৮

রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার অবদান মানুষ মনে রাখবে: মাশরাফী

১৯

কোন কোন বিশ্বনেতার সঙ্গে দেখা করেছেন খালেদা জিয়া

২০
X