প্রথমবার একসঙ্গে ২ বিমানবাহী রণতরী প্রশান্ত মহাসাগরে পাঠিয়েছে চীন। সেসব প্রশান্ত মহাসাগরে একসঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই সপ্তাহে জাপান বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর চিন্তিত।
কারণ, বেইজিং তার সীমানার বাইরে দ্রুত সামরিক কার্যক্রম বিস্তৃত। এ নিয়ে টোকিও আগে থেকেই শঙ্কিত। তবুও আগে কখনও চীন একসঙ্গে দুটি বিমানবাহী রণতরী সেখানে পাঠায়নি। কিন্তু হঠাৎ বেইজিং শক্তি বাড়ানোয় টোকিওর উদ্বেগ বেড়ে গেছে। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের।
বিমানবাহী রণতরীগুলো দূরবর্তী এলাকায় শক্তি দেখানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চীন নিয়মিতভাবে পূর্ব চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জের আশপাশে কোস্টগার্ড জাহাজ, যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান পাঠায়। কিন্তু এখন তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবাধীন অঞ্চল গুয়ামসহ দ্বিতীয় দ্বীপশৃঙ্খল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এর আগে একটি চীনা বিমানবাহী রণতরী প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়েছিল। কিন্তু সেটি এবারের মতো এত দূরে যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) জাপান তার উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, গত সপ্তাহান্তে একটি চীনা যুদ্ধবিমান জাপানের রিকনেসান্স বিমানের অস্বাভাবিকভাবে কাছাকাছি দূরত্বে উড্ডয়ন করেছে। একটি বিমানবাহী রণতরী থেকে উড্ডয়ন করেছিল সেটি।
তাইওয়ানকে চীন নিজের অংশ বলে দাবি করে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দখল করতে চায় অঞ্চলটি। জাপান মনে করে, এই দুটি রণতরীর যৌথ কার্যক্রম চীনের সাম্রাজ্যবাদী প্রকৃতি প্রকাশ করে।
চীন বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনীর অধিকারী। তাই চীনের কার্যক্রম হেলায় উড়িয়ে দেওয়া শত্রুপক্ষের জন্য কখনও সম্ভব নয়। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি বিমানবাহী রণতরী, লিয়াওনিং এবং শানডং প্রথমবারের মতো প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ দ্বীপপুঞ্জের কাছে পৃথকভাবে কিন্তু প্রায় একই সময়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে। দুটিই ইও জিমার কাছাকাছি জলসীমায় কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, যা টোকিও থেকে প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার (৭৫০ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেন নাকাতানি এসব জানান।
লিয়াওনিং জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল ও দেশটির সবচেয়ে পূর্বের দ্বীপ মিনামিতোরিশিমার আওতায় প্রবেশ করেছে। যদিও এতে জাপানের আঞ্চলিক জলসীমার কোনো লঙ্ঘন হয়নি। তবুও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাকাতানি বলেছেন, জাপান চীনা দূতাবাসের কাছে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মন্তব্য করুন