দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা পাঁচ দিনের ভারি বর্ষণ ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন নয়জন। দুর্যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় সানচেওং এলাকায়। সেখানে একসঙ্গে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিধসে ঘর চাপা পড়ে এবং আকস্মিক বন্যায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রায় ১ হাজার ২০০ এর বেশি বাড়িঘর ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জরুরি উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী, দমকল বাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা।
উদ্ধার অভিযানের মধ্যেই আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে—আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। দেশের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘন ঘন এ ধরনের চরম আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। ২০২২ সালেও টানা বৃষ্টিতে ভূমিধস ও বন্যায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে মত দিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন কর্তৃপক্ষ।
দেশজুড়ে বিদ্যমান জরুরি সতর্কতা জারি রয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকার বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র : আল জাজিরা
মন্তব্য করুন