ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ক্যানসারের প্রকোপ দ্রুত বেড়ে চলেছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই (জানুয়ারি-জুন ২০২৫) শুধু আল-সুলায়মানিয়াহ প্রদেশে ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি নতুন ক্যানসার রোগী শনাক্ত হয়েছে।
রোববার স্থানীয় গণমাধ্যম শাফাক নিউজকে এ তথ্য জানান হিওয়া ক্যানসার হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইয়াদ আল-নাকশবান্দি। তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে স্তন ক্যানসার সচেতনতা কার্যক্রম চলার সময় রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ছে। শনাক্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারী। তবে অনেক রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন বলেও জানান তিনি।
ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ক্যানসার রেজিস্ট্রি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে ৪৩ হাজারের বেশি নতুন ক্যানসার রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফুসফুস, কোলোরেক্টাল এবং লিউকেমিয়া, আর নারীদের মধ্যে স্তন, থাইরয়েড ও কোলোরেক্টাল ক্যানসার বেশি দেখা যায়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক দশকে কুর্দিস্তান অঞ্চলে ক্যানসার আক্রান্তের হার দুই গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডা. আল-নাকশবান্দি বলেন, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, ওষুধ সংকট এবং বাগদাদ থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ না পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি হাসপাতালের নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসা কার্যক্রম বজায় রাখতে সরকার ও দাতাদের সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও জানান, প্রায় ২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ক্যানসার হাসপাতালটি এ পর্যন্ত ইরাকজুড়ে ৯০ হাজারেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছে।
আল-নাকশবান্দি জোর দিয়ে বলেন, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয় প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের মাধ্যমে। তার মতে, দ্রুত শনাক্তকরণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় এবং ব্যয়বহুল বিদেশি চিকিৎসার প্রয়োজন কমায়।
মন্তব্য করুন