রংপুরের পীরগাছায় এক গৃহবধূকে (৪২) গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর সতীন আমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস।
এর আগে, গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার ভোরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যানী ইউনিয়নের তৈয়ব গ্রামে গৃহবধূকে তার স্বামী মো. নজরুল ইসলাম (৪৭), তার ১ম স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজন মিলে সুপারি গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় রোববার বেলা ১১টার দিকে মাহিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে। পরে শেফালী বেগম বাদী হয়ে মোট ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করলে তদন্ত শুরু করে মাহিগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে পুলিশ এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি মোছা. আমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, একই উপজেলার পাওটানা হাটের নিজতাজ গ্রামে তার বাড়ি। তারা ২০১৪ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতেন স্বামী ও সতিন আমেনা। এ কারণে তিনি তার নিকটজনের কাছে প্রায় এক বছর ধরে আশ্রিত ছিলেন। শুক্রবার রাতে তিনি স্বামীর বাড়িতে এলে স্বামী নজরুল বলেন, তাকে তালাক দিয়েছেন। এ সময় তালাকের কাগজ দেখতে চাইলে তার ওপর নির্যাতন করা হয়।
মাহিগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস কালবেলাকে জানান, মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন