২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ জটিল আকার ধারণ করেছে। এবার মিয়ানমারের জান্তা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে।
বিমান বিধ্বস্তে হামলার দায় স্বীকার করেছে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। কায়াহ প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল কারেন্নি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ)-এর দায় স্বীকার করেছে।
জানা যায়, থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে পূর্ব মিয়ানমারে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রায়াত্ত এমআরটিভির কাছে দাবি করেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই পাইলট নিরাপদে সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন বলেও দাবি করেন তিনি।
যখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে জাতিগত সংখ্যালঘু বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দলগুলোর বিপক্ষে লড়াই করছে তখনই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের সংবাদ পাওয়া গেল। অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বিদ্রোহী বাহিনীগুলো। বিদ্রোহী দলগুলোর অসাধারণ সমন্বয়ের কারণেই এমনটি সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে সামরিক সরকারের প্রেসিডেন্ট বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এসব বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ হলে দেশটি ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, দেশটির শান রাজ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধ সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পুরো দেশই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর নিয়োগ পাওয়া সাবেক জেনারেল মিন্ত সোয়ে ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের এক জরুরি বৈঠকে বিদ্রোহীদের কয়েকটি সমন্বিত হামলার তথ্য তুলে ধরেন। ওই হামলায় সামরিক বাহিনী বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন