আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন হামলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যদিও হতাহতের সংখ্যা দেশটিতে যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘাতকালের তুলনায় অনেক কমেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন জানিয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত দেশটিতে এক হাজার ৯৫ জন নিহত এবং ২ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাত শতাধিক মানুষ মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বাজারের মতো জনসমাগমস্থলে বিভিন্ন ধরনের বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। আর অধিকাংশ হামলার জন্য দায়ী তালেবান।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘ শুধু এ ধরনের হামলায় হতাহতের দিকটি তুলে ধরেনি; একই সঙ্গে হামলার ভয়াবহতার মাত্রা বৃদ্ধির দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, হামলা কম হলেও হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
শুধু জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের বোমা হামলায় এক হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
তবে ক্ষমতাসীন তালেবান বলছে, তারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোর দিয়েছে এবং সম্প্রতি আইএসের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযানও চালিয়েছে। তাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও দাবি করেছে।
তালেবানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা নির্মূলে সব সময় নিয়োজিত।’
ন্যাটো-সমর্থিত সামরিক বাহিনীর পতনের পর ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান।
মন্তব্য করুন