জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের নতুন আমির নির্বাচিত হয়েছেন হাফেজ নাঈমুর রেহমান। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের দৈনিক পত্রিকা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার লাহোরে অবস্থিত দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে নতুন আমির নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
হাফেজ নাঈমুর রেহমান ২০২৯ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি এর আগে ২০১৩ থেকে করাচির আমিরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
আমির নির্বাচন করতে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের ৪৫ হাজারেরও বেশি সদস্য ভোট দিয়েছেন। যার মধ্যে ৬ হাজার নারী সদস্য ভোটার ছিলেন। হাফেজ নাঈমুর রেহমান ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে আমির নির্বাচিত হয়েছেন।
নাঈমুর রেহমান করাচির বাসিন্দা, পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলিতে নিজেকে একজন পরিবেশবাদী হিসাবে পরিচিত করেছেন।
জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে দলীয় প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ঘটে। এবার দলটির কেন্দ্রীয় পরামর্শক সংস্থা, যা মারকাজী শূরা নামে পরিচিত, জামাত সদস্যদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনটি নাম প্রস্তাব করে। যেখানে হাফিজ নাঈমুর রহমানের পাশাপাশি সিরাজুল হক এবং লিয়াকত বালুচের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন।
উল্লেখ, নাঈমুর রেহমান পাকিস্তানের শীর্ষ বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামী জামিয়াত-ই-তালাবা পাকিস্তান’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।
সদ্য বিদায়ী আমির, সিরাজুল হক ২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘ এক দশক মেয়াদে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তার আগে মাওলানা সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী, মিয়া তুফায়েল মুহাম্মদ, কাজী হুসেন আহমদ, সৈয়দ মুনাওয়ার হাসানসহ প্রভাবশালী নেতাদের সবাই এই দলটির মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
মন্তব্য করুন