কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

চীনের সঙ্গে পশ্চিমাদের শত্রুতার ইতিকথা

চীনকে প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতীকী ছবি
চীনকে প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতীকী ছবি

কসভোর স্বাধীনতার দাবিকে কেন্দ্র করে আলবেনীয় জাতিগোষ্ঠীর ওপর ১৯৯৮ সালে ভয়াবহ নির্যাতন শুরু করে ইউগোস্লাভিয়ার সার্ব বাহিনী। ইউগোস্লাভিয়ান প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোশেভিচের সেনাবাহিনীর চালানো নৃশংসতার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এরপর ইউগোস্লাভিয়ায় শুরু হয় বোমা হামলা। একপর্যায়ে ১৯৯৯ সালের ৭ মে মধ্যরাতে বেলগ্রেডে চীনা দূতাবাসে পাঁচটি বোমা ফেলে মার্কিন জঙ্গিবিমানগুলো। ফলে বিধ্বস্ত হয়ে যায় দূতাবাস ভবন। সেখান থেকেই চীনের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার পর বেলগ্রেডে যেসব চীনা ছিল তারা প্রতিবাদ করা এবং রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় বেলগ্রেডে বসবাসরত চীনাদের সংখ্যা ছিল অনেক।

তারা পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে রাস্তায় নামেন। দিনের শেষে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় তিন হাজারে। শুধু বেলগ্রেড নয় এ ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল চীনের মূল ভূখণ্ডেও। ন্যাটোর এই বোমা হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে চীনা জনগণ।

হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় চীনের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছায়। যদিও সামরিক জোট ন্যাটো ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন জোড়াতালি দিয়ে সম্পর্ক উন্নত করতে উদ্যোগী হন।

সে সময় গোয়েন্দা তথ্যের ত্রুটি দেখিয়ে চীনা দূতাবাসে হামলার কথা স্বীকার করে ন্যাটো কর্মকর্তারা। যদিও দুঃখ প্রকাশের পরও বোমা হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় সামরিক জোটটি।

সে সময় বেলগ্রেডে বসবাসকারী চীনা ব্যবসায়ী হং শ্যেন জানান, চীনের তরুণ প্রজন্ম সে সময় কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ঝুঁকতে শুরু করেছিল। কিন্তু ওই বোমা হামলা তাদের সেই মানসিকতাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেয়।

ওই হামলার পর চীনের তরুণরা বিশ্বাস করতো না যে আমেরিকার কোনো রকম মানবিকতা বোধ আছে।

এদিকে ন্যাটো ও পশ্চিমারা ওই ঘটনাকে দুর্ঘটনা আখ্যা দিলেও কয়েক মাস পর লন্ডনের অবজারভারসহ বেশকিছু গণমাধ্যম একটি তদন্তে গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে লেখে যে, ওই হামলা ছিল ‘ইচ্ছাকৃত’। যদিও ব্রিটিশ এবং আমেরিকান সরকার সেই তথ্য ‘বানোয়াট’ বলে সরাসরি অস্বীকার করে।

কসভো যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউগোস্লাভিয়ায় ন্যাটোর বোমা হামলা চলেছিল ৭৮ দিন ধরে। কসোভো থেকে ইউগোস্লাভিয়া সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হওয়ার পর ১৯৯৯ সালের ১০ জুন এই হামলার পরিসমাপ্তি ঘটে।

পরের বছর ২০০০ সালে ইউগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোশেভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা চলাকালীন ২০০৬ সালে কারাগারে তার মৃত্যু হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাকসুতে কেন্দ্রীয় সংসদে দুই পদে এগিয়ে ছাত্রশিবির, একপদে ছাত্রদল

চবিতে আরও দুই হলের ফল ঘোষণা

কারচুপি হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল: রাকিব

সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি-জিএসে এগিয়ে শিবির

সোহরাওয়ার্দী হলে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

আরেক হলের ফল ঘোষণা, তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রদল

হাসপাতালে খালেদা জিয়া

ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন গ্রেটা থুনবার্গ

চবিতে মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির

চাকসুর ফল কারচুপির চেষ্টার অভিযোগে শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান

১০

৩১ দফা বাস্তবায়নে / বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সোহাগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

১১

চবিতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

১২

সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে ভলকার তুর্কের আহ্বান

১৩

বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাল জামায়াত

১৪

চাকসু নির্বাচনে আরেক হলের ফল ঘোষণা, ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল

১৫

গোমতীর চরে আগাম সবজির চাষ, অধিক লাভের আশা কৃষকের

১৬

নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে কেশবপুরের তপস্যা

১৭

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

১৮

ইন্দোনেশিয়ায় তেলবাহী ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১০

১৯

রাত থেকে লাইনে নারী-পুরুষ, সকালে মেলে আটা

২০
X