

ব্যাপক পরিসরে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা বাতিল সংক্রান্ত সিটিবিটির চুক্তি অনুযায়ী অনেক দেশই পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা বন্ধ রাখে। কিন্তু হঠাৎ আবারও পৃথিবী বিধ্বংসী এই বোমার পরীক্ষা শুরু করেছে পরাশক্তি দেশগুলো। ইতোমধ্যে রাশিয়া এই বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সামরিক বাহিনীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেন। গেল ৩৩ বছর ধরে এই বোমার পরীক্ষা বন্ধ রাখে ওয়াশিংটন।
কেন বন্ধ রাখা হয়েছিল পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা। আবার কেনই বা নতুন করে এর পরীক্ষা চালানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে, তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিউ মেক্সিকোর আলামোগোর্দোতে ২০ কিলোটনের পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়ে পারমাণবিক যুগের সূচনা করে। ওই একই বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানকে আত্মসমর্পণ করতে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক হামলা চালায় ওয়াশিংটন।
এ ঘটনার মাত্র চার বছরের মাথায় ১৯৪৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ১৯৪৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পরাশক্তিধর দেশগুলো ২ হাজারের বেশি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী— এ সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১ হাজার ৩২টি ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ৭১৫টি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়। এছাড়া ব্রিটেন ৪৫টি, ফ্রান্স ২১০টি ও চীন ৪৫টি বোমার পরীক্ষা চালায়। তবে সিটিবিটি চুক্তির পর ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া ১০টি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো নতুন করে পারমাণকি অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে বুঝতে চাইছে যে, নতুন করে তাদের অস্ত্র তৈরির প্রয়োজন আছে কিনা। পুরাতন পারমাণবিক অস্ত্রগুলো কাজ করছে কিনা। ফেডারেল আমেরিকান বিজ্ঞানীদের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে রাশিয়াতে। দেশটির কাছে ৫ হাজার ৪৫৯টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে। এরপরই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন