আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। এতে একদিনে অন্তত দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। শনিবার (১১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, শুক্রবার আফগানিস্তানের বাঘলানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে অঞ্চলটিতে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যার প্রভাবে কয়েক হাজার বাড়িঘর ধ্বংস এবং অন্তত দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তবে এতে আরও হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেবল বাঘলানে দেড় হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত এবং ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া সেখানে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। অন্যদিকে তালেবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাঘলান ছাড়াও আফগানিস্তানের আরও কয়েকটি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, বন্যায় উত্তরাঞ্চলের তাকহার প্রদেশে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এদিনের বৃষ্টির ফলে বাদাকশান, ঘোর এবং পশ্চিমাঞ্চলের হেরাতেও বিভিন্ন অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে গত শীতের মওসুমটি ছিল শুষ্ক। ফলে বৃষ্টির পানি পর্যাপ্ত আকারে শুষে নিতে পারছে না মাটি। দেশটিতে জলাবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক হুমকিতে ছিল। যার ফল এখন বাস্তবে দেখা মিলছে।
পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশ আফগানিস্তান। বিজ্ঞানীদের মতে, দেশটি এত বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত নয়। গত চার দশক ধরে দেশটি যুদ্ধিবিগ্রহে বিধ্বস্ত ছিল। ফলে অর্থনীতি অনেকটা দুর্বল।
আফগানিস্তান পৃথিবীর অন্যতম একটি গরিব দেশ। বিজ্ঞানীদের মতে, এমন বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দেশটি প্রস্তুত নয়। গত চার দশক আফগানিস্তানে যুদ্ধবিগ্রহ লেগে ছিল। এ কারণে দেশটির অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল।
মন্তব্য করুন