নতুন করে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী। এরই মধ্যে দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এ ছাড়া নিয়মিত বিরতিতে ইসরায়েলেও হামলা হচ্ছে। সর্বশেষ বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। ইয়েমেন থেকে হওয়া এসব হামলার দায় ঘুরেফিরে ইরানের ওপর আসছে।
হুতিদের হামলার দায় ইরান এড়াতে পারে না, এমনটি মনে করে জার্মানি। তাইতো জার্মানি ইরানকে হুতিদের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। যাতে তারা সামুদ্রিক আক্রমণ বন্ধ করে। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বলেছেন, তিনি আশা করেন যে, ইরান লোহিত সাগরে জাহাজে আক্রমণ বন্ধ করার জন্য ইয়েমেনে তেহরান-সমর্থিত হুতিদের ওপর তার প্রভাব প্রয়োগ করবে।
ভিয়েনায় ইসরায়েলি ও অস্ট্রিয়ান নেতাদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াদেফুল বলেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং আশা করি ইরান হুতিদের ওপর তার প্রভাব প্রয়োগ করে এটি বন্ধ করবে।
তিনি আরও বলেন, এসব হামলা দেখায় আমাদের সামগ্রিকভাবে ইরানের সঙ্গে একটি বোঝাপড়া প্রয়োজন। কেবল পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন এবং সম্ভাব্য ইউরোনিয়াম মজুতের বিষয়েই নয়; বরং ইরানের আঞ্চলিক আচরণ সম্পর্কেও এ বোঝাপড়া দরকার।
লোহিত সাগরে চলমান হামলার অংশ হিসেবে এই সপ্তাহে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে হুতিরা। সর্বশেষ ‘এটারনিটি সি’ নামের একটি গ্রিকচালিত এবং লাইবেরিয়া-ফ্ল্যাগধারী পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে অন্তত চার নাবিককে হত্যা করা হয়েছে। জাহাজটিতে মোট ২৫ জন ক্রু ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী টাস্ক ফোর্স ‘এসপিডাস’ জানিয়েছে, ১০ জনকে সমুদ্র থেকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ১১ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন হুতিদের হাতে আটক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুতি মুখপাত্র বুধবার দাবি করেন, তারা জাহাজের কয়েকজন ক্রুকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে ইয়েমেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এই দাবি অস্বীকার করেছে। দূতাবাস বলেছে, জাহাজডুবি ঘটিয়েই ক্ষান্ত হয়নি হুতিরা। সে সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
মন্তব্য করুন