যদি ইউক্রেনের আকাশে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান দেখা যায় তাহলে সামরিক কায়দায় তা মোকাবিলা করবে রাশিয়া। শুক্রবার (১৬ জুন) রুশ গণমাধ্যম আরটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এমন মন্তব্য করেছেন।
সংশ্লিষ্ট এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবশ্যই এর জবাব সামরিক কায়দায় দেওয়া হবে। ল্যাভরভ বলেন, পাঁচ নিউক্লিয়ার অস্ত্র বিশিষ্ট দেশ নিউক্লিয়ার অস্ত্র দিয়ে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান প্রস্তুত করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে।
ল্যাভরভ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলন, ‘যে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান নিয়ে কথা হচ্ছে সেগুলো নিউক্লিয়ার অস্ত্র বহনে সক্ষম।’
দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমাদের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার দাবির মুখে গত মাসে জি-৭ নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, তার দেশ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেবে। আর বাইডেনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক।
যখন রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছিল, তখন ইউক্রেনের হাতে ১২০টির মতো যুদ্ধবিমান ছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে এর বেশিরভাগই ছিল সোভিয়েত আমলের পুরনো মিগ-২৯ এবং সু-২৭। এর মধ্যে যুদ্ধে অনেকগুলোই ধ্বংস বা অকেজো হয়ে গেছে।
ইউক্রেন মনে করে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর সঙ্গে টেক্কা দিতে হলে তাদের ২০০ জেট বিমান দরকার, অর্থাৎ এখন তাদের যা আছে তার চেয়ে অন্তত পাঁচ-ছয় গুণ বেশি।
এফ-১৬ যুদ্ধবিমান প্রথম তৈরি করা হয় ১৯৭০ এর দশকে। এফ-১৬ শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চলতে পারে এবং আকাশে বা মাটিতে- যে কোন টার্গেটে হামলা করতে পারে।
মন্তব্য করুন