ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি তিনি সরাসরি ব্রিটেনকে জানিয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে ব্রিটিশ নেতার সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার সাথে একমত নন। কিন্তু কেন তা তিনি বিস্তারিতভাবে বলেননি।
ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রীর (কিয়ার স্টারমার) সাথে আমার এই বিষয়ে দ্বিমত আছে... আমাদের কয়েকটি মতবিরোধের মধ্যে এটি একটি।
ট্রাম্প আরও জানান, তিনি অবিলম্বে সমস্ত জিম্মির মুক্তির ব্যবস্থা করতে চান। পর্যায়ক্রমে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিরোধি তিনি। ট্রাম্প বলেন, একজন নয়, দুজন নয়, অথবা ‘আমরা আগামীকাল তোমাদের তিনজন দেব’ এমন কথা শুনতে চাই না। আমাদের অবিলম্বে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। ইসরায়েলের জনগণ এটাই চায়। আমরা চাই লড়াই বন্ধ হোক এবং এটি বন্ধ হবে। আমরা প্রায় প্রতিটি সংঘাতের সমাধান করেছি। এটাও করব।
স্টারমার আগেই জানিয়েছিলেন, যদি ইসরায়েল গাজার মানুষের দুর্দশা কমানোর পদক্ষেপ না নেয় এবং প্রায় দুই বছর ধরে সেখানে চালিয়ে আসা হামলা বন্ধে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারে তবে সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগেই যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ওই সম্মেলনকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। তবে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লন্ডনের বিরোধ তৈরি হয়েছে, কারণ ওয়াশিংটন এখনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে। অন্যদিকে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো দেশগুলোও একই সময়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এবার যুক্তরাজ্যে গিয়ে ট্রাম্প সরাসরি বিরোধিতা করায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বাস্তবায়নে ব্রিটেন কতটা সাহস দেখাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মন্তব্য করুন