ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা। শুক্রবার এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেও তা আর বাড়ায়নি। ফলে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি। শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার নতুন করে ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে তিন দেশ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি খাদ্য রপ্তানি করেছিল। তবে গত বছর এ হার কমেছে। কেননা এ অঞ্চলের কৃষকেরা কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু রাশিয়ার হামলার কারণে সেভাবে এ রুট ব্যবহার করতে পারেনি তারা। ফলে বিশ্বজুড়ে পণ্যের দাম বেড়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইউক্রেনের শস্যের অবাধ আমদানির কারণে স্থানীয় কৃষকদের শস্যের দাম কমে গেছে। এজন্য এ তিন দেশ ইউক্রেনের শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। দেশটির ওপর গত মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শস্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। যদিও ওই সময়ে কয়েকটি শর্তারোপ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, যে দেশ ইউক্রেনের শস্য কিনবে, তারা বিশ্বের অন্য কোথাও সেই শস্য বিক্রি করবে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল এ নিষেধাজ্ঞা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এরপর পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডমব্রোভস্কিস শুক্রবার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনীয় শস্য আমদানির বিরুদ্ধে একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা।’ কিন্তু পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি সেই আহ্বান না মেনে ইউক্রেনীয় শস্য আমদানিতে তাদের নিজস্ব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। দেশগুলো নিজেরা নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করতে পারবে ইউক্রেন।
মন্তব্য করুন