ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ কাখোভকা বাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বন্যাকবলিত বহু মানুষ চরম সংকটে রয়েছেন। বন্যার কবলে এরই মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকেই করছেন আর্তনাদ। তারা সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে।
আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব খবর জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিগ্রামে বন্যাকবলিত শত শত মানুষ উদ্ধারের আবেদন জানাচ্ছেন। ‘দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন’ লিখেই স্বিতলানা নামের এক বন্যাকবলিত নারী বলছেন, দিনিপ্রো নদীর পাশে রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৩৫ জন আটকা পড়েছে। তারা সবাই আশপাশের ছাদে আশ্রয় নিয়েছে। বাচ্চারা কাঁদছে আর চিৎকার করছে।
বন্যাকবলিত এই নারী আরও লেখেন, ‘তিন দিন ধরে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নেই। আমরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছি। আমাদের দয়া করুন।’ বিবিসি বলছে, বেশিরভাগ সাহায্যের আবেদন আসছে নদীর বাঁ পাশের তীর থেকে, যা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
আজ শুক্রবার স্থানীয় তালিকা অনুযায়ী, অন্তত দেড়শজনের নিখোঁজের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার খেরসনে ভারী গোলাবর্ষণের পর স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্ধারকাজে বিরতি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এর আগে কাখোভকার বাঁধে হামলার ঘটনাকে ‘বড় ধরনের পরিবেশগত বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ হামলার ঘটনা ঘটলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সামরিক পরিকল্পনা থেকে ইউক্রেন সরে আসবে না বলেও জানান তিনি।
রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বাঁধটিতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বাধা দেওয়ার জন্য বন্যাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেই বাঁধটি উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে, বাঁধটিতে হামলার ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করছে রাশিয়া। তারা বলছে, পাল্টা আক্রমণের ব্যর্থতার খবরকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে ইউক্রেন।
মন্তব্য করুন