কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ট্রাম্প-মোদি কি বাংলাদেশ ইস্যুতেও কথা বলবেন?

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। ছবি : সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয় দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়। ঠিক একই সময়ে সীমান্তের কিছু জায়গায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বেড়া নির্মাণকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেই টানাপোড়েন রূপ নেয় উত্তেজনায়। যদিও দুই দেশের আন্তরিক কূটনৈতিক তৎপরতায় সেই উত্তেজনা সাময়িক স্তিমিত হয়েছিল।

সবশেষ শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণ এবং সেই ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবুরের বাড়ি ভাঙা নিয়ে ফের দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। পাল্টাপাল্টি তলব করা হয় রাষ্ট্রদূতদের। পরিস্থিতি যখন ঠিক এমন টালমাটাল তখন জানা গেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

নরেন্দ্র মোদি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মোদি বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করবেন কিনা এমন প্রশ্নে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ট্রাম্প-মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু ‘উঠতে পারে’। আর এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তাদের প্রথম বৈঠক হবে।

মিশ্রি বলেছেন, আমি নিশ্চিত না যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আলোচনা হবে কিনা, তবে এটি উঠে আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে কোনো বিশেষ বিষয় উঠে আসবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।’

শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বাংলাদেশে উত্তেজনা চলছে। ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মিশ্রি বলেন, কূটনৈতিক ভবনের নিরাপত্তা ‘হোস্ট সরকারের দায়িত্ব’। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তাদের এ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন রয়েছে।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষুব্ধরা শেখ মুজিবুরের বাড়ির গেট ভাঙচুর করেন এবং আগুন লাগিয়ে দেন। তারা বাড়িটিকে ‘স্বৈরাচার’ ও ‘ফ্যাসিবাদের’ প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

শেখ হাসিনার বক্তব্যের কারণে দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। মিশ্রি জানান, দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা ও সহানুভূতির পরিবেশ প্রয়োজন। হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত মতামত হিসেবেই দেখতে হবে।

মোদির মার্কিন সফরে বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন বাণিজ্য, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ও অভিবাসন নীতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ উদ্বেগের মধ্যে সফরটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

তবে মোদির এ সফর ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য ঠেকানোর জন্য।

সূত্র: ফার্স্টপোস্ট, এনই ইন্ডিয়া ব্রডকাস্ট

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পটকা ফুটানো নিয়ে রাতে সংঘর্ষে জড়াল দুই মহল্লার বাসিন্দারা

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ যা জানা গেল

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিনের সর্বশেষ অবস্থা

বিজয়ের মাস উদযাপনে ঢাবি প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ জাতীয় ছাত্রশক্তির

গুজবে কান না দিয়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া করুন : ইশরাক

শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মনি গ্রেপ্তার

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফরিদপুরে কর্মসূচি

এখনো ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত, ছাত্রত্ব বাতিল দুই শিক্ষার্থীর

‘চশমা’ প্রতীকে নির্বাচন করবে আট দলের শরিক জাগপা

১০

মানুষের অধিকারের প্রশ্নে খালেদা জিয়া সব সময় আপসহীন : মাসুদুজ্জামান

১১

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির ওমরাহ পালন

১২

সেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারল না ভারতকে, সমতায় সিরিজ

১৩

মাদকাসক্ত ছেলের আগুনে পুড়ল বসতঘর

১৪

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালে চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

১৫

মাদ্রাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

১৬

শরীয়তপুরে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় মিলাদ ও দোয়া

১৭

পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের যে দাবি

১৮

সন্তানহারা মা কুকুরটিকে দেওয়া হলো দুটি নতুন ছানা

১৯

সালাউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি বিসিবি, থাকছেন জাতীয় দলের সাথেই

২০
X