সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হয়েছে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। পাইলট ও কেবিন ক্রুসহ এতে আরোহী ছিলেন ২৪২ জন। বিমানটি মেডিকেল কলেজের একটি মেসের উপর বিধ্বস্ত হয় এবং তাতে আগুন ধরে যায়। এ সময় মেসে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া চলছিল বলে জানা গেছে। ফলে বিমান আরোহী ছাড়াও অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ভারতে বিমান দুর্ঘটনা নতুন না। সাম্প্রতিক ইতিহাসে সেদেশে যে কয়েকটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তাদের অধিকাংশই বোয়িং ৭৩৭।
আগস্ট ২০২০
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কোঝিকোড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে উড্ডয়নকালে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং ৭৩৭ বিমান। এরপর তা পার্শ্ববর্তী একটি উপত্যকার খাদে পড়ে যায়। সেখানে মাটিতে সজোরে আছড়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। এতে ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
মে ২০১০
দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী ম্যাঙ্গালুরুর বিমানবন্দরে একইভাবে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এই বিমানও রানওয়ে থেকে ছিটকে একটি খাদে পড়ে যায়। এতে ১৫৮ জন আরোহীর মৃত্যু হয়। যথারীতি এই বিমানও বোয়িং ৭৩৭ সিরিজের।
জুলাই ২০০০
কলকাতা থেকে রাজধানী নয়াদিল্লিগামী রাষ্ট্রায়ত্ত অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি বিমান পূর্বাঞ্চলীয় নগরী পাটনার একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন।
এপ্রিল ১৯৯৩
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আওরঙ্গবাদে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয় ভারতের একটি এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমান। এতে ৫৫ জন আরোহী নিহত হয়।
আগস্ট ১৯৯১
এই মাসে কলকাতা থেকে আসা ভারতের আরেকটি এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমান উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের কাছে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৬৯ জন আরোহীর সবাই মারা যান।
অক্টোবর ১৯৮৮
এদিন মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ যাওয়ার পর অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় বোয়িং ৭৩৭ বিমান। এতে ১৩০ জনেরও বেশি যাত্রী নিহত হন।
জানুয়ারি ১৯৭৮
এদিন ২১৩ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এর পাইলট। ভারতীয় অর্থনীতির কেন্দ্র মুম্বাই উপকূলবর্তী আরব সাগরে গিয়ে বিমানটি উছড়ে পড়ে। এতে আরোহীদের সবাই নিহত হন।
মন্তব্য করুন