

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (সিডিএ) ভবনের নকশা অনুমোদন ও ভূমি ছাড়পত্র পেতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন এবং দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সিডিএ কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদক জানায়, নকশা অনুমোদন পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা অজুহাতে নথিপত্র আটকে রেখে আবেদনকারীকে হয়রানি করেছেন, এমন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী হাসান মুরাদ ২০২৩ সালে ভূমি ছাড়পত্র ও ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন। তিনি ২০২৩ সালের মে মাসে ভূমি ছাড়পত্র এবং ২০২৪ সালের মে মাসে চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন পেলেও অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করা হয়নি।
অভিযোগে ডিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট আলমগীর তালুকদার, সেকশন অফিসারসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ হাসান ও সহকারী অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াস আক্তারের নামও উঠে এসেছে।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম বলেন, নকশা অনুমোদনের পরও তা আবেদনকারীকে না দেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি ও সময়ক্ষেপণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘুষের অভিযোগগুলো বিস্তারিতভাবে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘দুদকের অভিযান রুটিন কার্যক্রমের অংশ। সিডিএ এতে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। অভিযোগকারী নকশা পাওয়ার আগেই ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন, যার ফলে ইমারত নির্মাণ কমিটি নকশাটি হস্তান্তর না করে আটকে রেখেছিল। তবে নকশা দিতে কেন দেরি হলো এবং এর পেছনে কোনো অর্থ লেনদেন আছে কি না, তা দুদক তদন্ত করছে।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা সিডিএতে স্বচ্ছতা ফেরাতে বেশ কিছু পরিবর্তন শুরু করেছি। যদি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে সিডিএ কোনো ছাড় দেবে না। আমরা চাই প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতিমুক্ত হোক।’
মন্তব্য করুন