ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে সাত ভারতীয় সেনা সদস্যও রয়েছে। এসব মরদেহের মধ্যে ২২টি তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যায় আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গত বুধবার ভোরে সিকিমে বৃষ্টি শুরু হয়। অতিবৃষ্টিতে সিকিমের উত্তরাঞ্চলে লোনাক হ্রদের পানি অনেক বেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে তিস্তা নদীর ওপর। এ ছাড়া চানথাং বাঁধের অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিলে তিস্তা নদীর ভাটিতে পানির উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে বন্যা দেখা দেয়।
এবারের আকস্মিক বন্যায় সিকিমের ১১টি সেতু ধ্বংস হয়েছে। এদের মধ্যে মাঙ্গান জেলার ৮টি, নামচিতে দুটি এবং গ্যাংটকের একটি। বন্যায় চার জেলার পানির পাইপলাইন, স্যুয়ারেজ লাইন এবং ২৭৭টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিকিমের মুখ্য সচিব বিজয় ভূষণ পাঠক বলেছেন, লাচেন ও লাচুং-এ প্রায় তিন হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে করে সেখানে যাওয়া ৩ হাজার ১৫০ জনও বন্যার কারণে আটকা পড়েছে। আমরা সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে সবাইকে সরিয়ে নেব।
এবারের বন্যার পানিতে রাজ্যের চুংথাং বাঁধ ভেসে গেছে। এর দায় আগের রাজ্য সরকারের ওপর চাপিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। তিনি বলেন, ‘বাঁধ সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ভেসে গেছে। নিম্নাঞ্চলে এ জন্যই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এটাও ঠিক অতিবৃষ্টির কারণে লোনাক হ্রদ উপচে পানি প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু বাঁধ নির্মাণে আগের রাজ্য সরকারের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে বাঁধ ধসে গেছে। এ জন্য সিকিমে নিচু এলাকায় বন্যা আরও ভয়াবহভাবে দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন