নারীদের মাঝে বেড়েছে উচ্চশিক্ষার হার। তবে নারীদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিচিত্র এক তথ্য এবার সামনে এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে, নারীরা ক্যারিয়ার নয়, বিয়ের জন্য উচ্চশিক্ষার দিকে ধাবিত হচ্ছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্টের এক এক প্রতিবেদনে এমটাই দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বেড়েছে নারীদের অংশগ্রহণ। তবে এ হার উল্লেখযোগ্য আকারে বাড়েনি শ্রমবাজারে। বরং এটি আরও কমে গিয়েছে। আর ঘটনাটি পেক্ষাপট হিসেবে বলা হয়েছে ভারতকে। ওয়াশিংটন পোস্টের নয়াদিল্লি প্রতিনিধি কারিশমা মেহরোত্রার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক সোনালদে দেশাই ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক সমীক্ষার নেতৃত্ব দেন। শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ না বাড়লে পড়াশুনা কেন করাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের মেয়েরা উন্নত চাকরি পেতে নয়, বরং বিয়ের বাজারে নিজেকে মূল্যবান করতেই উচ্চতর পড়াশোনা করছে।
দেশটিতে বর্তমানে ছেলেদের পরিবার শিক্ষিত পুত্রবধূর খোঁজ করছেন। এটি যে চাকরি বা আয় রোজগারের মাধ্যমে সংসারের গতি আনবে এমনটি নয়, বরং এটি উচ্চ শিক্ষিত সন্তান তৈরিতে নারীরা ভূমিকা রাখবেন বলেই প্রবণতাটি বাড়ছে।
ভারতীয় গবেষক বলেন, আমি যা দেখলাম, মূলত শিক্ষিত গৃহিণী পাওয়ার একটি প্রবণতা। এ প্রবণতা অন্য কোনো দেশে খুব একটা দেখা যায় না বলেও জানান তিনি।
সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের রাজনৈতিক অর্থনীতিবীদ নীলাঞ্জন সরকার বলেন, বর্তমানে বাড়িতে একজন শিক্ষিত নারী থাকা একটি স্ট্যাটাসের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতে ক্রমবর্ধমান শ্রমবাজারের প্রবৃদ্ধি ঘটাতে হলে স্থবির হয়ে থাকা নারীদের কর্মশক্তিতে অংশগ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
পরিসংখ্যনে দেখা গেছে, ১৯৯০ সালের দিক থেকে ভারতের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমেই কমেছে। এমনকি অর্থনীতির পরিধি বাড়লেও কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিম্নমুখী রয়ে গেছে। বর্তমানে প্রতি চারজনের একজন শ্রমবাজারে যুক্ত রয়েছে। অথচ ২০০গ সালের দিকেও দেশটিতে প্রতি তিনজনে একজন নারী শ্রমবাজারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
মন্তব্য করুন