ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হেলভি এক সংবাদ সম্মেলনে এ অঙ্গীকার করেন।
হার্জি বলেন, ইয়াহিয়াকে খুঁজে বের করে হত্যা করা হবে। হামাস যেন অন্য নেতা নির্বাচন করে নেয়। এমনকি ইয়াহিয়াকে বহিষ্কার করতে হামাসের ওপর চাপ দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ভিন্ন অনুষ্ঠানে একই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলার পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার; আইডিএফ এমনটিই বিশ্বাস করে। এর প্রমাণ হিসেবে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
ইসরায়েলের বিপক্ষে হামলা জোরদার, যোদ্ধা তৈরি, গাজার সীমান্তে অস্থিশীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আগে থেকেই ইয়াহিয়া সিনওয়ার কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন। এবার ইয়াহিয়াকে প্রধান নেতা মনোনীত করায় তাকে শাস্তি দিতে নতুন করে ভাবছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘ইয়াহিয়া সিনওয়ারের জন্য শুধু একটি জায়গা আছে। নিহত মোহাম্মদ দেইফ এবং ৭ অক্টোবরের বাকি সন্ত্রাসীদের পাশেই তিনি থাকবেন।’ অর্থাৎ তাকে হত্যা করে কবরে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ইয়াহিয়া সন্ত্রাসী। তিনি ৭ অক্টোবর নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
এদিকে আত্মরক্ষার জন্যই ইসরায়েল যুদ্ধ করছে বলে আবারও মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরায়েল আত্মরক্ষায় বদ্ধপরিকর। আমরা নিজেদের রক্ষা এবং পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় গাজার যোদ্ধাদের মধ্যে শোক বিরাজ করছিল। তবে হানিয়াকে দাফনের পর দলকে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ অনুভব করে তারা। এরই অংশ হিসেবে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের দায়িত্বে থাকা সিনওয়ারকে মনোনীত করেন শীর্ষ নেতারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক শাখার নেতাকে হামাসের প্রধান করা গুরুত্ববহ, যা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেয়। হয়তো দখলদারদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদারের পরিকল্পনাও রয়েছে। এ ছাড়া এবার সামরিক শাখা ও মাঠপর্যায়ের যোদ্ধাদের সঙ্গে রাজনৈতিক শাখার বোঝাপোড়া ভালো হবে।