কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মরছে ফিলিস্তিন-লেবানিজরা, মুসলিম বিশ্ব কি হাততালি দেওয়া দর্শক?

সৌদি আরব আয়োজিত সম্মেলনে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতারা। ছবি : সংগৃহীত
সৌদি আরব আয়োজিত সম্মেলনে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গত এক বছর ধরে ইসরায়েল ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত লড়াই চলছে। এতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই প্রতিরোধ যোদ্ধা। এছাড়া উভয় পক্ষে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

এই অবস্থায় লেবাননে নতুন করে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে লেবাননের ইরানপন্থি সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে তারা।

হিজবুল্লাহর প্রধান নিহতের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন মাত্রায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার। নতুন এই পরিস্থিতি নিয়ে নানা সমীকরণ মেলাচ্ছে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো।

বিশ্বের মুসলমান প্রধান দেশগুলো সবসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন এবং ‘নিপীড়িত’ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এলেও বড় ধরনের সংকট এলে পুরো মুসলিম বিশ্বকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে খুব একটা শক্ত অবস্থান নিতে দেখা যায় না।

এমন কি মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কিংবা আরব লীগও ইসরায়েলের সঙ্গে সংকটকালে ফিলিস্তিনের পক্ষে খুব জোরালো কোনো ভূমিকা নিতে পারে না।

গাজা ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত লেবাননের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং ইয়েমেনের হুতি যুদ্ধা ছাড়া, অন্য কেউ-ই ফিলিস্তিনের পাশে সরাসরি অবস্থান নেয়নি। মুখে ফাঁকা বুলি আওড়ানো, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে ভোটদান, ত্রাণ পাঠানো এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়া মূলত কোনো দেশই ফিলিস্তিনিদের জন্য তেমন কিছু করতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলের সর্বাত্মক সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। বিপরীতে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে ইরান ছাড়া আর কোনো দেশকেই উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে দেখা যায় না। বরং কোনো কোনো মুসলিম দেশের প্রতিক্রিয়া ছিল একেবারেই নখদন্তহীন।

বিশ্লেষকরা বলছেন মুসলিম বিশ্বের জনগণ ফিলিস্তিনের পক্ষে একাট্টা হলেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতার কারণে সরকারগুলোর পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়া সম্ভব হয় না।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া বা শক্ত অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিম দেশগুলোর জন্য বড় সীমাবদ্ধতার জায়গা হলো যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের অবস্থান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেষ হলো রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট

‘আঁচলে ফল বা পাতা পড়লেই মিলবে সন্তান’

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে

 বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামিক সংগঠনের নেতার পদত্যাগ দাবি

২৩ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

শুটিংয়ের প্রলোভনে মডেলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অতঃপর...

কেয়ামতের দিন যে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ বাদী হবেন

১০

বাম চোখ লাফালে কী হয়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ আলেম

১১

২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১২

লবণ নাকি চিনি, কোনটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে?

১৩

হল ত্যাগের নির্দেশ, ঢাবিশিক্ষার্থীদের প্রতি তাসনিম জুমার যে অনুরোধ

১৪

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান ইডেন শিক্ষার্থীদের

১৫

৭ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

১৬

ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত অনেক

১৭

ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

১৮

জনগণকে নিয়ে এলাকার কল্যাণে কাজ করব : রবিন 

১৯

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ৭৬ ক্লাবকে নিয়ে কোয়াবের চা-চক্রের আয়োজন

২০
X