কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডালিম পেকে ফেটে গেলেও তুলতে পারছেন না লেবাননের কৃষকরা

লেবাননের অন্যতম প্রধান ফসল ডালিম। ছবি : সংগৃহীত
লেবাননের অন্যতম প্রধান ফসল ডালিম। ছবি : সংগৃহীত

গাছেই পেকে ফেটে গেছে ডালিম। কিন্তু ইসরায়েলি হামলায় সেগুলো আহরণ করতে পারছেন না লেবাননের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কৃষকরা। বিস্ফোরণের ধোঁয়ায় যেন মিলিয়ে যাচ্ছে ডালিমের স্বাদ আর ঘ্রাণ।

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাসবায়ার ডালিমের বাগানগুলোয় এখন ফসল তোলার সময়। কিন্তু এ বছর, কৃষকরা শুধু প্রকৃতির সঙ্গেই নয়, লড়ছেন যুদ্ধের আতঙ্কের সঙ্গেও। সীমান্তবর্তী এ এলাকায় প্রতিদিনের গোলাবর্ষণ তাদের জীবনকে করে তুলেছে ভীষণ অনিশ্চিত।

আবুধাবি ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ভায়েরিকে স্থানীয় ডালিম বিক্রেতা জামাল খায়ের আল দীন বলেন, আমরা এখন খুব ভোরে কাজে আসি। কারণ তখন গোলাবর্ষণ কম হয়। তবুও কাছের খিয়াম এবং মারজায়ুনের মতো এলাকাগুলো থেকে মাঝে মাঝে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসে। আগে পুরো জমিতে চাষাবাদ করতাম। এ বছর শুধু বড় গাছগুলোর ফলনের ওপর নির্ভর করছি।

জামাল খায়ের নামের এই লেবানিজ নাগরিক একজন অভিজ্ঞ কৃষক। তিনি বলেন, তারা তাদের জমি ছাড়বেন না, কারণ এটাই তাদের পূর্বপুরুষদের মাটি।

এই কৃষক বলেন, আমরা এখন খুব বিপদের মধ্যে আছি। কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা এই জমিতে কাজ করেছেন, আমরাও এই মাটিকে আঁকড়ে ধরে থাকব।

তিনি বলেন, শুধু ফসল তোলাই নয়, গোলাবর্ষণের কারণে ডালিম থেকে মোলাস তৈরি করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আগে এই মোলাস বিদেশে রপ্তানি করা হতো। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এখন বাজারে পাঠানোও বন্ধ হয়ে গেছে।

খায়ের আল দীন বলেন, ডালিমের রস থেকে মোলাস তৈরি করতে সময় লাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিন্তু এখন এসব পণ্যের কোনো বাজার নেই। লেবাননের অভ্যন্তরেও বিক্রি কমে গেছে, আর বিদেশে পাঠানো সম্পূর্ণ বন্ধ।

যুদ্ধের মাঝেও লেবাননের হাসবায়ার কৃষকরা নিজেদের জমি ছাড়তে রাজি নন। কারণ, ডালিম তাদের কাছে শুধু ফসল নয়, বেঁচে থাকার সংগ্রামের প্রতীকও। তাদের প্রত্যাশা, একদিন এই সংকট কেটে যাবে এবং তারা আবার আগের মতোই তাদের ফসল বাজারে পাঠাতে পারবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

জাল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, জেনেও ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ

ইলিয়াস কাঞ্চনের অসুস্থতায় শাবনূরের আবেগঘন বার্তা

যুদ্ধের উসকানি দিয়ে শান্তির প্রতীক হওয়া যায় না, ট্রাম্পকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাবার সঙ্গে আলোর শেষ কথা—আমরা আটকে গেছি

লাইভে এসে সংসদ ভেঙে দিলেন পালিয়ে যাওয়া মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থীকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

মেসি নন, নতুনদের নিয়েই পুয়ের্তো রিকোর মুখোমুখি আর্জেন্টিনা

বিএনপি কোনো দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায় না : কফিল উদ্দিন 

১০

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি

১১

পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে : পরওয়ার

১২

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : লায়ন ফারুক

১৩

ভারতের হারে এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের

১৪

সাবেক স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

১৫

পর্তুগালসহ যেসব দল আজ নিশ্চিত করতে পারে বিশ্বকাপের টিকিট!

১৬

এক দিনের ব্যবধানে দেশে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল

১৭

সুস্থ থাকতে খেলাধুলার বিকল্প নেই : মেয়র ডা. শাহাদাত

১৮

ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ায় প্রতিবন্ধীর প্রতিবাদ

১৯

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মিরাজদের সামনে বিশাল লক্ষ্য

২০
X