শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নারী শিক্ষায় বাধা দেবে না সিরিয়ার নতুন সরকার

সিরিয়ার একটি স্কুলে ছাত্রীরা। ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ার একটি স্কুলে ছাত্রীরা। ছবি : সংগৃহীত

বাশার আল আসাদের পতনের পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের নিয়ন্ত্রিত সরকার সিরিয়ায় কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে সেই সরকার অভ্যুত্থানকারীদের ইচ্ছেমতো সংস্কার শুরু করেছে। সংস্কারের অন্যতম খাত হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে স্বৈরশাসকের রেখে যাওয়া শিক্ষাব্যবস্থা।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে সিরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে প্রাক্তন ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির সব নিয়মকানুন মুছে ফেলবে। তবে স্কুল পাঠ্যক্রম আপাতত পরিবর্তন করবে না। বিশেষ করে মেয়েদের শেখার অধিকার সীমাবদ্ধ করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির নতুন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী নাজির মোহাম্মদ আল কাদরি দামেস্কে তার অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা সিরিয়ার জনগণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা খাদ্য ও পানির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার অধিকার একটি নির্দিষ্ট লিঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের স্কুলে ছেলেদের চেয়ে বেশি মেয়ে থাকতে পারে।

গেল ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের টানা ১২ দিনের আকস্মিক অভিযানে দেশ ছেড়ে পালান দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে স্বৈরশাসন চালানো বাশার আল আসাদ। তারপরই ভেঙে পড়ে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর কমান্ড।

আসাদ দেশ ছাড়ার পর ক্ষমতার দখল যায় হায়াত আল তাহরির আল শাম তথা এইচটিএস নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে। এ গোষ্ঠীটির ইচ্ছাতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এবং তাদের ইশারাতেই বর্তমানে সিরিয়ার নীতি-নির্ধারিত হচ্ছে।

এদিকে ক্ষমতার পালাবদলের পর বিভিন্ন স্থানে আসাদ বাহিনীর সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় এইচটিএস। সেই ঘোষণা মোতাবেক সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ টারতুসের আসাদের রাজনৈতিক দল বাথ পার্টির আঞ্চলিক সদরদপ্তরে অস্ত্র জমা দিতে আসেন সাবেক সেনা সদস্যরা। সেখানে অস্ত্র জমা নেওয়ার কাজ করছে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আহরার আল শাম। এর আগে, আসাদ বাহিনীর সেনাসদস্য ও আসাদ সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের তুরতুসে বাথ পার্টির কার্যালয়ে নিজেদের অস্ত্র জমা দয়ার নির্দেশনা দেয় গোষ্ঠীটি।

সিরিয়ান সেনাবাহিনী একজন কর্মকর্তা, সাবেক মেজর আলি হাবাবা গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্রোহীরা যখন ক্ষমতা দখল করতে আসে তখন আমি দারা শহরে দায়িত্বরত ছিলাম। তারা কোনো প্রকার রক্তপাত ছাড়াই আমাদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। আমরাও কোনো লড়াই না করে সেনা প্রত্যাহার করি। এখন এখানে এসেছি বিষয়গুলো মীমাংসা করতে, আমরা আশা করি দেশের জন্য এটি একটি ভালো পদক্ষেপ হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধর্মগড় সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক চার বাংলাদেশি

হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে মোদিকে ওয়েইসির প্রশ্ন

জাকসুতে প্যানেল দ্বন্দ্ব, পদত্যাগ করে বাগছাস নেতার মিষ্টি বিতরণ

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই : বেবিচক চেয়ারম্যান

‘আ. লীগ বিদ্যুৎ খাতে চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল’

আ.লীগ নেত্রী রুনু গ্রেপ্তার

ইসির ইউটিউব চ্যানেল চালু, মিলবে যেসব তথ্য

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থী

চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

ভোলায় পাঁচ দিন ২০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

১০

থানা ব্যারাকে নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণ, তিনজন ক্লোজড

১১

পিআর পদ্ধতিতে সব ভোটারের মূল্যায়ন হয় : চরমোনাই পীর

১২

তিস্তায় কার্টুন বক্সে ভাসছিল নবজাতকের মরদেহ

১৩

দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে : চসিক মেয়র

১৪

কৃষক দল সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল

১৫

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সতর্কবার্তা / ‘সাংবাদিকরা চুপ থাকলে সমাজ অন্ধকারে ডুবে যাবে’

১৬

যেসব অনিয়মে বাতিল হবে এজেন্সির নিবন্ধন

১৭

অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সিলেট জেলা পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ : পুলিশ সুপার

১৮

বগুড়ায় সাহিত্য উৎসব শুক্রবার, অংশ নিবে দুই শতাধিক কবি

১৯

বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি রোধে নতুন নির্দেশনা

২০
X