কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আল-আকসা ভাঙার ষড়যন্ত্রে প্রকাশ্যে ইসরায়েল

পবিত্র আল আকসা মসজিদ। পুরোনো ছবি
পবিত্র আল আকসা মসজিদ। পুরোনো ছবি

মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে ইহুদি উপাসনালয় বা ‘থার্ড টেম্পল’ গড়ার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা।

সম্প্রতি হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই পরিকল্পনা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে ফিলিস্তিন, আর তাই দিয়েছে কড়া সতর্কবার্তা।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বের টুইটার) এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আল-আকসা মসজিদ ধ্বংসের পরিকল্পনাকে আমরা দখলকৃত জেরুজালেমে ইসলামিক এবং খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থানগুলোতে ধারাবাহিক ও পদ্ধতিগত উসকানির অংশ হিসেবে বিবেচনা করছি।

তারা আরও যোগ করে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত এই উসকানিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারীরা বহুদিন ধরেই আল-আকসা প্রাঙ্গণে উসকানিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তারা প্রায়ই মুসলিমদের পবিত্র এই স্থানে অনুপ্রবেশ করে, সেখানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধর্মীয় আচার পালন করে এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সহায়তায় দাঙ্গা ও হামলা চালায়।

অথচ ‘জেরুজালেম স্ট্যাটাস কু’ বা ঐতিহাসিক চুক্তি অনুযায়ী, অমুসলিমরা আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রার্থনা করতে পারবে না। তবুও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইহুদি কট্টরপন্থিরা সেখানে নিয়মিত প্রবেশ করছে এবং এখন তারা সরাসরি মসজিদটি গুঁড়িয়ে সেখানে ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণের ডাক দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শুধু জেরুজালেম নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নতুন করে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ আল আকসা শুধু একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, এটি মুসলিম বিশ্বের আত্মিক আবেগ, ইতিহাস ও পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ফিলিস্তিন বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বিষয়টি তুলে ধরলেও এখনো পর্যন্ত বড় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি জাতিসংঘ বা প্রভাবশালী বিশ্বশক্তিগুলো। তবে এবার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আল-আকসার প্রতি ইসরায়েলি হুমকি নতুন নয়, তবে এবার তা আরও সংগঠিত ও প্রকাশ্য। ফিলিস্তিনের সতর্ক বার্তা স্রেফ একটি প্রতিবাদ নয়, বরং তা এক সম্ভাব্য বিস্ফোরণের আগাম সংকেত। আন্তর্জাতিক মহলের উচিত, সময় থাকতে পদক্ষেপ নেওয়া—নইলে ইতিহাস আবারও রক্তাক্ত হতে পারে পবিত্র ভূমিতে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মহররমে বিদআত ও ভ্রান্ত রীতি : যা করণীয়

যশোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের পদত্যাগ

সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক পদ ফাঁকা

দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে আজ 

০১ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে

মঙ্গলবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

১ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে তালা দিলেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা

চাকসু ভবনকে ‘ভাতের হোটেল’ ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

১০

৭ দিন ধরে খোঁজ মিলছে না এসএসসি ফলপ্রার্থী রিয়ামনির

১১

আট মামলার আসামিকে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা

১২

রাসিকের ৮০৬ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

১৩

চাল না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা

১৪

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে : আব্দুল হালিম

১৫

গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ

১৬

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

১৭

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু, কেয়ারটেকারকে ঘিরে সন্দেহ

১৮

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

১৯

শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ৬ নির্দেশনা

২০
X